img

আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএসএ-এর সেন্ট্রাল কমিটির কাউন্সিল সম্পন্ন

প্রকাশিত :  ১১:২০, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএসএ-এর সেন্ট্রাল কমিটির কাউন্সিল সম্পন্ন
সভাপতি - প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুন নূর, সাধারণ সম্পাদক - মাওলানা শাব্বির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক - হাফিজ মাওঃ কাওছার আহমদ
-------------------------------------------------------------
আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএসএ-এর (২০২৫–২০২৮ সেশনের) সেন্ট্রাল কমিটির কাউন্সিল অধিবেশন গত ৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, বাদ যোহর নিউইয়র্কস্থ ফুলতলী ইসলামিক সেন্টারে স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিল অধিবেশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আল্লামা মঈন উদ্দিন সাহেবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও স্থায়ী কমিটির সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল মাওঃ মুহাম্মদ আব্দুন নুর সাহেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

হাফিজ নজম উদ্দীন আহমদের পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আনজুমানে আল- ইসলাহ\'র মুহতারাম সভাপতি হযরত আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে কাউন্সিল অধিবেশন সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন করাসহ, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএসএ-এর স্থায়ী কমিটির সদস্য আল্লামা সৈয়দ সাজেদুল হক, মাওলানা শরীফ উদ্দীন, মাওলানা আবু নসর মোহাম্মদ কুতবুজ্জামান ও মাওলানা আবুল কাশেম ইয়াহইয়া।

কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত বিভিন্ন স্টেট থেকে আগত কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুন নূর সভাপতি,  মাওলানা শাব্বির আহমদ সাধারণ সম্পাদক ও হাফিজ মাওঃ কাওছার আহমদ-কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএসএ-এর (২০২৫–২০২৮ সেশনের) জন্য ২৩ সদস্যবিশিষ্ট সেন্ট্রাল কমিটি গঠন করা হয়।

নবনির্বাচিত কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীলরা হলেন সহ-সভাপতি  মাওলানা আবু আব্দিল্লাহ মোহাম্মদ আইনুল হুদা, হাফিজ মাওলানা ফখরুল ইসলাম, আলহাজ্ব সাদাত খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রুহান উদ্দিন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোতাহির হুসাইন, প্রচার সম্পাদক মালিক শেখ, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ সালেহ, যুব-বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ নজম উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মুহিতুর রহমান সোহেল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শিহাব উদ্দিন খান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা কবির আহমদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাফিজ জামশেদ হুসাইন এবং অফিস সম্পাদক মাওলানা মুহিবুর রহমান।
নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবুল কাশেম ইয়াহইয়া, মাওলানা মঈনুল ইসলাম, মাওলানা সুন্নতুর রহমান, ক্বারী মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, হাফিজ মঈনউদ্দিন এবং হাফিজ পারভেজ সিদ্দিক।

অনুষ্ঠান শেষে নবনির্বাচিত সকল দায়িত্বশীলদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্থায়ী কমিটির সভাপতি আল্লামা মঈন উদ্দীন সাহেব।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আল্লামা  সৈয়দ সাজেদুল হক সাহেবের দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। ‎ ‎

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

গাজায় গণহত্যা বন্ধে নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের আবেগঘন ও জোরালো বক্তব্য

প্রকাশিত :  ১৪:২০, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

"আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা কখনো দেখিনি: মেয়র লুৎফুর

-  “ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?”

- “প্রয়োজন প্রকৃত অর্থে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা⁠।”

- “দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু।”

-------------------------------------------------------------------------------------

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বুধবার ফুল কাউন্সিল মিটিং-এ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে এক আবেগঘন ও শক্তিশালী বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তেও নারী ও শিশুরা অবিরামভাবে বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। তাদের যন্ত্রণার গভীরতা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা আমি কখনও দেখিনি।

মেয়র জানান, গত দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু, নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রানচেস্কা আলবানেসের মতে, প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত ৬৮০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, এটিকে গণহত্যা হিশেবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের পরও গাজায় যা ঘটছে তাকে গণহত্যা বলতে লেবার সরকার এখনো অস্বীকার করছে। বরং ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। আমাদের দরকার বয়কট, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রকৃত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা।

মেয়র আরও বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সরকার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেছে। এই স্বীকৃতি আসতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৭৮ বছর। কিন্তু ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?

তিনি জোর দিয়ে বলেন,গাজার গণহত্যাকে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জরুরি প্রয়োজন এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হওয়া। আমাদের যা কিছু করার সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে আমাদের এই গণহত্যা থামাতে হবে।

মেয়র লুৎফুর স্মরণ করিয়ে দেন, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল প্রথম সংস্থাগুলোর একটি, যারা কর্মজীবী মানুষের অবসর তহবিলকে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত কোম্পানি থেকে মুক্ত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইহুদি ও মুসলিম কমিউনিটির প্রতি সংহতি 

মেয়র একই সময়ে ম্যানচেস্টারের হিটন পার্ক সিনাগগে সংঘটিত ইহুদি-বিরোধী হামলা এবং ইস্ট সাসেক্সের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, ইহুদিদের সর্বাপেক্ষা পবিত্র দিন ইয়োম কিপুরে এই হামলা গভীরভাবে নিন্দনীয়। একইভাবে ইসলামবিদ্বেষমূলক ঘৃণাজনিত অপরাধও আমাদের সমাজে কোনো স্থান পেতে পারে না। 

তিনি নিহতদের পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঐক্যের বার্তা: বিভাজনের মুখেও ঐক্যবদ্ধ টাওয়ার হ্যামলেটস

মেয়র বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৈচিত্র্যময় বারা, কিন্তু একই সঙ্গে অন্যতম ঐক্যবদ্ধও। এখানে ৯০% মানুষ বলেন, ভিন্ন পটভূমির মানুষদের সঙ্গে তারা ভালোভাবে মিশে চলেন। 

সম্প্রতি কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত টাউন হল ওপেন ডে ও ব্রিক লেন কারি ফেস্টিভ্যালে প্রায় ২২,৫০০ মানুষ একত্রিত হয়েছেন — যা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন মেয়র।

বাসিন্দাদের জন্য বিনিয়োগ, কাউন্সিলের অঙ্গীকার

মেয়র তার কিছু উন্নয়ন কাজের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ২০২২ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমার লক্ষ্য একটাই — আমাদের বাসিন্দাদের জন‍্য বিনিয়োগ করা। 

তিনি উল্লেখ করেন, কাউন্সিল ইতিমধ্যে সার্বজনীন বিনামূল্যের স্কুল খাবার, বিনামূল্যে ইউনিফর্ম অনুদান, বিনামূল্যে হোম কেয়ার, সাশ্রয়ী হাউজিং, শীতকালীন জ্বালানি ভাতা, বিনামূল্যে সাঁতারসহ নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর