img

একুশে টিভির সাংবাদিক এর বৃটেনের কার্ডিফ শহীদ মিনার পরিদর্শন

প্রকাশিত :  ১০:১৭, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

একুশে টিভির সাংবাদিক এর বৃটেনের কার্ডিফ শহীদ মিনার পরিদর্শন

বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনার পরিদর্শনসহ কার্ডিফে ২৬ ঘন্টায় অবস্থানকালে ব্যাস্ত সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে আগত একুশে টিভির সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী। গত ৪ টা  অক্টোবর দূপুর ১২ টায় শহীদ মিনার পরিদর্শনকালে তাঁকে স্বাগত জানান কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনার  ফাউন্ডার্স ট্রাষ্ট কমিটির সেক্রেটারী কমিউনিটি লিডার ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মোহাম্মদ মকিস মনসুর। 

এই সময় কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলের সাবেক ডিপুটি লড মেয়র কাউন্সিলার এম দিলওয়ার আলী, শহীদ মিনার কমিটির অন্যতম  ফাউন্ডার্স ট্রাষ্টি শেখ মোহাম্মদ তাহির উল্লাহ, ফাউন্ডার্স ট্রাষ্টি আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, লাইফ মেম্বার ভিপি সেলিম আহমদ, সাংবাদিক জিসান আহমেদ, সৈয়দ ইকবাল আহমেদ, সৈয়দ মোহাম্মদ কাহের,আখি আক্তার, মাসুদ আহমেদ, বদরুল হক মনসুর ও  সাজেল আহমেদ। এর পর সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তীর সম্মানে কার্ডিফের সিটি রোডের একটি টার্কিস রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্ন ভোজ  ও এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

কার্ডিফ বাংলা স্কুলের সাধারণ সম্পাদক ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং কবি ও  সাহিত্যিক  সৈয়দ কাহের এর প্রানবন্ত উপস্থাপনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বোর্ড অফ ডিরেক্টর শাহ্ শাফী কাদির,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী  মুজিবুর রহমান মুজিব , লেখক ও সংগঠক জিসান আহমেদ,  শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুর রউফ তালুকদার,  রকিবুর রহমান, গিয়াস আহমেদ, মসুদ চৌধুরী, ও জিল্লু রহমান সহ আরো অনেকেই। 

পরিশেষে  বাংলা বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত সাহিত্য স্মরণিকা  নিয়ে আলোচনাসভা ও সুধীজনদের মধ্যে  স্মরণিকা বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কবি ও  সাহিত্যিক  সৈয়দ কাহের অতিথিদের হাতে  “সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব ২০২৫” স্মরণিকা  তুলে দেন।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর  বলেন,  এ জাতীয় কাজ বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে  এগিয়ে নিয়ে যাবে।  নতুন প্রজন্মের মধ্যে লেখালেখিতে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।  বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে  এর খুবই প্রয়োজন রয়েছে ।  দলমত নির্বিশেষে  এসব অনুষ্ঠানে  সম্মিলিতভাবে সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

একুশে টিভির সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী কার্ডিফে ২৬ ঘন্টায় অবস্থানকালে তাকে নিয়ে তিনটি অনুষ্ঠান করায় সবার আন্তরিকতায় সত্যিই খুব আনন্দিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে  তিনি  সিনিয়র সাংবাদিক মৌলভীবাজার জেলার কৃতি সন্তান কমিউনিটি লিডার ও সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর  সহ উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

গাজায় গণহত্যা বন্ধে নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের আবেগঘন ও জোরালো বক্তব্য

প্রকাশিত :  ১৪:২০, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

"আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা কখনো দেখিনি: মেয়র লুৎফুর

-  “ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?”

- “প্রয়োজন প্রকৃত অর্থে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা⁠।”

- “দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু।”

-------------------------------------------------------------------------------------

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বুধবার ফুল কাউন্সিল মিটিং-এ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে এক আবেগঘন ও শক্তিশালী বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তেও নারী ও শিশুরা অবিরামভাবে বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। তাদের যন্ত্রণার গভীরতা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা আমি কখনও দেখিনি।

মেয়র জানান, গত দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু, নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রানচেস্কা আলবানেসের মতে, প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত ৬৮০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, এটিকে গণহত্যা হিশেবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের পরও গাজায় যা ঘটছে তাকে গণহত্যা বলতে লেবার সরকার এখনো অস্বীকার করছে। বরং ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। আমাদের দরকার বয়কট, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রকৃত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা।

মেয়র আরও বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সরকার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেছে। এই স্বীকৃতি আসতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৭৮ বছর। কিন্তু ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?

তিনি জোর দিয়ে বলেন,গাজার গণহত্যাকে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জরুরি প্রয়োজন এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হওয়া। আমাদের যা কিছু করার সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে আমাদের এই গণহত্যা থামাতে হবে।

মেয়র লুৎফুর স্মরণ করিয়ে দেন, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল প্রথম সংস্থাগুলোর একটি, যারা কর্মজীবী মানুষের অবসর তহবিলকে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত কোম্পানি থেকে মুক্ত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইহুদি ও মুসলিম কমিউনিটির প্রতি সংহতি 

মেয়র একই সময়ে ম্যানচেস্টারের হিটন পার্ক সিনাগগে সংঘটিত ইহুদি-বিরোধী হামলা এবং ইস্ট সাসেক্সের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, ইহুদিদের সর্বাপেক্ষা পবিত্র দিন ইয়োম কিপুরে এই হামলা গভীরভাবে নিন্দনীয়। একইভাবে ইসলামবিদ্বেষমূলক ঘৃণাজনিত অপরাধও আমাদের সমাজে কোনো স্থান পেতে পারে না। 

তিনি নিহতদের পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঐক্যের বার্তা: বিভাজনের মুখেও ঐক্যবদ্ধ টাওয়ার হ্যামলেটস

মেয়র বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৈচিত্র্যময় বারা, কিন্তু একই সঙ্গে অন্যতম ঐক্যবদ্ধও। এখানে ৯০% মানুষ বলেন, ভিন্ন পটভূমির মানুষদের সঙ্গে তারা ভালোভাবে মিশে চলেন। 

সম্প্রতি কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত টাউন হল ওপেন ডে ও ব্রিক লেন কারি ফেস্টিভ্যালে প্রায় ২২,৫০০ মানুষ একত্রিত হয়েছেন — যা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন মেয়র।

বাসিন্দাদের জন্য বিনিয়োগ, কাউন্সিলের অঙ্গীকার

মেয়র তার কিছু উন্নয়ন কাজের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ২০২২ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমার লক্ষ্য একটাই — আমাদের বাসিন্দাদের জন‍্য বিনিয়োগ করা। 

তিনি উল্লেখ করেন, কাউন্সিল ইতিমধ্যে সার্বজনীন বিনামূল্যের স্কুল খাবার, বিনামূল্যে ইউনিফর্ম অনুদান, বিনামূল্যে হোম কেয়ার, সাশ্রয়ী হাউজিং, শীতকালীন জ্বালানি ভাতা, বিনামূল্যে সাঁতারসহ নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর