img

দয়া, সহানুভূতি ও সংযোগের গল্প নিয়ে আবারও আসছে ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা ২০২৫’

প্রকাশিত :  ১৫:২৬, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

দয়া, সহানুভূতি ও সংযোগের গল্প নিয়ে আবারও আসছে ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা ২০২৫’

দয়া, সহানুভূতি ও মানবিকতার বার্তা নিয়ে আবারও মঞ্চে উঠছে টাওয়ার হ্যামলেটসের জনপ্রিয় নাট্য উৎসব ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’। এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে \'আনউইন্ড, বি কাইন্ড\', অর্থাৎ দয়া ও সৌহার্দ্যের শক্তি তুলে ধরা।

পুরো নভেম্বর মাসজুড়ে (১ থেকে ৩০ নভেম্বর) চলবে এই উৎসব, যেখানে ১২টি নাট্য প্রযোজনা মঞ্চস্থ হবে টাওয়ার হ্যামলেটসের বিভিন্ন স্থানে। নাটকগুলোর কাহিনী ঘুরে বেড়াবে অভিবাসন, নারীর সংগ্রাম, বন্ধুত্ব এবং সার্বজনীন মানবিক অনুভূতির নানা দিক নিয়ে।

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন: “আমরা আনন্দিত যে এই উচ্চমানের থিয়েটার উৎসব আবারও আমাদের জনপদে ফিরে আসছে। অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার সময়ে দয়ার ছোট ছোট কাজগুলো আমাদের সবাইকে নতুন করে মানবিকতার পাঠ দেয় - ব্যক্তিগত হোক বা বৈশ্বিক পর্যায়ে।”

এ বছরের উৎসবে তিনটি প্রযোজনা সংস্থা তুলে ধরবে মৌখিক ইতিহাসের শক্তি, যেখানে ছোট ছোট জীবনের গল্প দেখাবে কীভাবে দয়া মানুষকে মানুষে যুক্ত করে। দর্শকের জন্য থাকবে অভিজ্ঞতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশনা, যেখানে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও উঠে আসবে মঞ্চে।

অভিবাসনের গল্পগুলো দেখাবে বিদেশের মাটিতে নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার লড়াই। এর সঙ্গে থাকবে এক সত্য ঘটনা - একজন পাট চাষির লস্কর হয়ে ওঠার গল্প, এবং দলিত পার্টিশন শরণার্থীদের যাত্রাপথ।

কৌতুক ও ব্যঙ্গ নাটক গুলো সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে হালকা করে উপস্থাপন করলেও মনে করিয়ে দেবে - দারিদ্র্য, বেকারত্ব বা আসক্তির সঙ্গে লড়াই করা মানুষগুলোরও প্রয়োজন সহানুভূতি ও সমর্থন।

নারীর জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ নিয়েও মঞ্চে আসবে একাধিক প্রযোজনা, যেমন প্রসূতি-পরবর্তী হতাশা, সমাজের কঠোর রায়, এবং মেনোপজের মতো অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মমর্যাদার গল্প পর্যন্ত।

আরও আনন্দদায়ক দিক হলো, দুটি নাটকে দেখা যাবে শৈশবের বন্ধুত্বের পুনর্মিলন ও ভাগ্যের খেলা - যেখানে এক দম্পতির বিবাহ অনুষ্ঠানের জট খুলে যায় দয়ারই এক ছোঁয়ায়।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সংস্কৃতি ও বিনোদন বিষয়ক ক্যাবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর কামরুল হুসেন বলেন: “এই উৎসবের বিভিন্ন গল্প আমাদের শেখায় - দয়া শুধু অন্যদের প্রতি নয়, নিজের প্রতিও জরুরি। এ বছরের প্রোগ্রামে সবার জন্য কিছু না কিছু আছে - তরুণদের জন্য, অভিভাবকদের জন্য, নারীদের জন্য। আশা করি সবাই এই অসাধারণ আয়োজনের অংশ হবেন।”

মূল নাট্য আয়োজনের পাশাপাশি চলবে বহুমুখী ফ্রিঞ্জ প্রোগ্রাম, যেখানে থাকবে প্রদর্শনী, ওপেন মাইক রাত, সৃজনশীল কর্মশালা, প্যানেল আলোচনা ও হাঁটা-ভিত্তিক ইভেন্ট। অধিকাংশ কার্যক্রম বিনামূল্যে অংশগ্রহণযোগ্য। দর্শকরা এখানে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত শিল্প, কবিতা, ভিজ্যুয়াল আর্ট ও পারফরম্যান্স তৈরির অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন।

সম্পূর্ণ প্রোগ্রামের বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.towerhamlets.gov.uk/lgnl/leisure_and_culture/Season-of-Bangla-drama/A-Season-of-Bangla-Drama.aspx

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

প্রবাসীদের বৃহৎ বিনিয়োগ ও ব্যাংক পুনর্গঠনে অংশগ্রহণের আগ্রহকে স্বাগত জানাই: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ২০ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৯, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আইএমএফ এর মিটিং উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডঃ আহসান এইচ মনসুরের সাথে সেন্টার ফর এনআরবি প্রতিনিধি দলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের দেশে থাকা সম্পদ রক্ষা ও ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করেন। বিশেষ করে পুনর্গঠিত পাঁচটি ব্যাংকে জমা থাকা প্রবাসীদের অর্থের বিষয়টি তিনি উপস্থাপন করেন । তিনি অভিজ্ঞ প্রবাসীদের বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পদ্ধতিতে যুক্ত করার আহ্বান জানান ।

সেকিল চৌধুরী বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের জন‍্য পুনর্গঠিত ব‍্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ বৃদ্ধি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় পুঁজিসংঠনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান যাতে প্রবাসীরা এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে।

ইতিবাচক বাংলাদেশ, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচারণা করার ব্যাপারে সেকিল চৌধুরী গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গভর্নর তার বক্তব্যে প্রবাসীদের নানামুখী বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি পুনর্গঠিত ব‍্যাংক কার্যক্রমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের আগ্রহকে স্বাগত জানান । এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যায়ক্রমে ইতিবাচক সহায়তা করবে বলে তিনি প্রবাসীদের আশ্বাস প্রদান করেন।

গভর্নর বলেন, দেশের সম্পদ রক্ষা ও পাচার রোধে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অত্যন্ত কার্যকর সহায়তা প্রদান করতে পারেন। তিনি বলেন, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে এ ব্যাপারে তিনি প্রবাসীদের সহায়তা কামনা করেন। গভর্নর বলেন, বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের সম্পদ পাচারের মতো অসৎ কাজকে নিরোৎসাহিত করা এবং এ ব্যাপারে লুটকারীরা যাতে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে সে ভূমিকা রাখতে পারেন।

আইনের নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে । গভর্নর বলেন, ব‍্যাংকে সঞ্চিত প্রবাসীদের অর্থ নিরাপদ আছে এবং বাংলাদেশের ইতিবাচক বিষয ও ব‍্যাংকিং চ‍্যানেলে অর্থ প্রেরণের বিষয়ে দেশে-বিদেশে প্রচারণা চালানোর প্রস্তাবনার বিষয়ে গভর্নর ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং এ ব্যাপারে ঢাকায় ফিরে আলোচনার জন‍্য তিনি এনআরবি সেন্টারকে আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে এনআরবি সেন্টারের যুক্তরাষ্ট্র সহায় গ্রুপের সদস্য সানোয়ার চৌধুরী ও নাদির খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর