img

ইউক্রেনে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে রুশ মিসাইল হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত :  ০৬:৩৪, ০৬ অক্টোবর ২০২৩

ইউক্রেনে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে রুশ মিসাইল হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক

ইউক্রেনে খারকিভের একটি গ্রামে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে মিসাইল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হযেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা একটা ১৫ মিনিটে খারকিভের হ্রোজা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত একজন ইউক্রেনীয় সেনার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান ছিল এটি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে প্রমাণ আছে- রাশিয়া সেখানে ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলছেন, “যারা রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধী প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলাতে চান, তারা যেন এই ঘটনার কথা মনে রাখেন। পুতিনের রাশিয়া হলো শয়তানের দেশ।”

ইইউ’র বিদেশ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, “নিরপরাধ সাধারণ মানুষের উপর আরেকটি জঘন্য আক্রমণ হলো। সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ হলো যুদ্ধাপরাধ। রাশিয়ার নেতৃত্ব, যারা এই আক্রমণ করছেন, তারা সকলেই দোষী।”

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, “এটা রাশিয়ার বর্বরোচিত আচরণ। প্রেসিডেন্ট পুতিন যা খুশি বলতে পারেন, কিন্তু তিনি এই যুদ্ধের জন্য দায়ী। সেজন্যই যুক্তরাজ্য রাশিয়ার বিরোধিতা করছে এবং করবে।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, “মৃতদের মধ্যে একটি ছয় বছরের বাচ্চা আছে। রাশিয়া ইচ্ছে করে এই আক্রমণ করেছে। এটা জঙ্গি হামলা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

ইউক্রেন এই ঘটনার কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মিসাইল হামলায় বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রিয়জনদের হারিয়ে মানুষ পুরো বিপর্যস্ত। সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা

পূর্বাচলে প্লট কেলেঙ্কারি

img

হাসিনা রেহানা জয়সহ ১০০ জনকে নিয়ে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই। 
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।
সূত্র : বাসস

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ এর আরও খবর