প্রকাশিত :
০৭:৩৯, ২০ অক্টোবর ২০২৩ সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫২, ২০ অক্টোবর ২০২৩
জাতির উদ্দেশে হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলে হামাসের কর্মকাণ্ড এবং ইউক্রেনে রুশ কর্মকাণ্ডের মাঝে যোগসূত্র বের করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাস এবং পুতিন বিভিন্ন হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে, তারা অভিন্ন। তারা উভয়েই প্রতিবেশী গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়।
উভয় স্থানে মার্কিন হস্তক্ষেপের ব্যাখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেন, আমেরিকান নেতৃত্বই বিশ্বকে একত্রিত করে।
বাইডেন কংগ্রেসের কাছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন চাইবেন। এর মধ্যে ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলার এবং ইসরায়েলের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। এর মধ্যে মানবিক সহায়তার জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বাইডেন বলেন, আমরা যদি ইউক্রেনে ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য 'পুতিনের ক্ষুধা' থামাতে না পারি, তবে তিনি কেবল ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না। আমরা যদি সরে যাই এবং পুতিনকে ইউক্রেনের স্বাধীনতা মুছে ফেলতে দেই, তাহলে বিশ্বজুড়ে আগ্রাসনকারীরা একই চেষ্টা চালাতে উৎসাহিত হবে। সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি বিশ্বের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে- ইন্দো-প্যাসিফিক, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে।
প্রকাশিত :
১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই।
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।