img

ইউক্রেনে মাইন বিস্ফোরণে রুশ জেনারেল নিহত

প্রকাশিত :  ০৫:২৫, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

ইউক্রেনে মাইন বিস্ফোরণে রুশ জেনারেল নিহত

ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যেই মাইন বিস্ফোরণে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। নিহত ওই রুশ সেনা কর্মকর্তার নাম মেজর জেনারেল ভ্লাদিমির জাভাদস্কি। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যেই মাইন বিস্ফোরণে রুশ এই জেনারেল নিহত হন। খবর বিবিসির। 

শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে মাইন বিস্ফোরণে রুশ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ভ্লাদিমির জাভাদস্কি নিহত হয়েছেন বলে ক্রেমলিনপন্থি একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ৪৫ বছর বয়সি রুশ এই জেনারেল তার মৃত্যুর সময় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ১৪তম সেনা কোরের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।

বিবিসি বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। মস্কোর সেই আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেনে কমপক্ষে ছয়জন রাশিয়ান জেনারেল নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অবশ্য মেজর জেনারেল ভ্লাদিমির জাভাদস্কির নিহত হওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কথা বলা হয়নি এবং ওই ঘটনাটি ঠিক কোথায় ঘটেছে তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট রয়েছে।

এ ছাড়া অতীতে বেশ কয়েক দফায় সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের মৃত্যুর বিষয়ে তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা প্রকাশ্যে কথা বলার পরও রাশিয়ার এই মন্ত্রণালয় থেকে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

খবরে বলা হচ্ছে, মেজর জেনারেল জাভাদস্কি গত বুধবার বিকালে নিহত হন। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে— তার ইউনিট সেই সময় ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে ছিল। নিজের বর্তমান ওই পোস্টিংয়ের আগে, জেনারেল জাভাদস্কি মস্কোর বাইরে অবস্থিত অভিজাত কান্তেমিরভস্কি ট্যাংক বিভাগের কমান্ডার ছিলেন।

জেনারেল জাভাদস্কির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলে তিনি হবেন সপ্তম রাশিয়ান জেনারেল যিনি ইউক্রেনে চলমান সংঘাতে নিহত হলেন। এর আগে যুদ্ধ শুরুর প্রথম চার মাসে চার জেনারেল এবং চলতি বছরের গ্রীষ্মে আরও দুজন রুশ জেনারেল মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পূর্বাচলে প্লট কেলেঙ্কারি

img

হাসিনা রেহানা জয়সহ ১০০ জনকে নিয়ে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই। 
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।
সূত্র : বাসস

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ এর আরও খবর