img

জন্মদিনে গ্রেনেড উপহার, বিস্ফোরণে ইউক্রেনীয় কমান্ডারের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৯:০৭, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

জন্মদিনে গ্রেনেড উপহার, বিস্ফোরণে ইউক্রেনীয় কমান্ডারের মৃত্যু

বার্থ-ডে পার্টিতেই জন্মদিনের উপহার পাওয়া গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়ে সন্তাহসহ প্রাণ হারিয়েছেন এক ইউক্রেনীয় কমান্ডার। 

এনডিটিভির প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ওই সেনা কর্মকর্তার জন্মদিনের উপহার হিসেবে বক্সের ভেতরে পাঠানো হয়েছিল গ্রেনেড। বক্স খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটলে সন্তানসহ মারা যান ইউক্রেনীয় ওই কমান্ডার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনির উপদেষ্টা এবং বাহিনীর অন্যতম একজন শীর্ষ কমান্ডার। তার  নাম গেনান্দি চাস্তিয়াকভ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেনারেল জালুঝনি। টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের কমান্ডার ইন চিফ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার এবং আমার সহকারী মেজর গেনান্দি চাস্তিয়াকভ ও তার শিশু সন্তান (ছেলে) নিহত হয়েছেন। তার জন্মদিনের উপহার বক্সে কেউ বোমা ভরে রেখেছিল, সেটির বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয়েছে তার।’

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লিমেনকো টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, ওই দিন ছিল মেজর চাস্তিয়াকভের জন্মদিন এবং প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চাস্তিয়াকভের ছেলে বাড়ির দরজার বাইরে থেকে একটি উপহারের বক্স এনে তার বাবার সামনে এনে সেটি খুলেছিল। 

তিনি আরও বলেন, বক্সটি খোলার পর সে গ্রেনেডটি দেখতে পায় এবং সেটি নিয়ে খেলা শুরু করে। এ সময় চাস্তিয়াকভ তার ছেলের হাত থেকে গ্রেনেডটি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় কোনোভাবে সেটির পিন খুলে যায় এবং পিতা ও শিশুপুত্র  উভয়ের মৃত্যু ঘটে।

ইউক্রেনীয় পুলিশ জানিয়েছে, উপহারের সেই বক্সে মোট তিনটি গ্রেনেড ছিল এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একজন সেনা সদস্য সেটি পাঠিয়েছিলেন। ওই সেনা সদস্যকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

নিহত মেজর চাস্তিয়াকভ ইউক্রেনীয় বাহিনীর অন্যতম সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কমান্ডার ছিলেন বলে টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল জালুঝনি।

পূর্বাচলে প্লট কেলেঙ্কারি

img

হাসিনা রেহানা জয়সহ ১০০ জনকে নিয়ে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই। 
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।
সূত্র : বাসস

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ এর আরও খবর