img

খারকিভে ডাক কোম্পানির বিতরণকেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৬

প্রকাশিত :  ০৭:১৯, ২২ অক্টোবর ২০২৩

খারকিভে ডাক কোম্পানির বিতরণকেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৬

ইউক্রেনের খারকিভের একটি ডাক কোম্পানির বিতরণ কেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪ জন। গতকাল শনিবার রাতে এ হামলা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, খারকিভে নোভা পোশতা কোম্পানির একটি কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। নোভা পোশতা ইউক্রেনের বেসরকারি ডাক ও কুরিয়ার কোম্পানি।

ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, হামলায় ভবনটির জানালা উড়ে গেছে। জেলেনস্কি তাঁর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে এসব ছবি পোস্ট করেছেন।

খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের সবাই ওই ডাক কোম্পানির কর্মী। তাঁদের বয়স ১৯ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৪ জনের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।

জেলেনস্কি বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে। জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।

এ হামলার ব্যাপারে রাশিয়া এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে রাশিয়া বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের কোনো বেসামরিক স্থানকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে না।

খারকিভ ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। রাশিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে এর অবস্থান। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিতে ভারী বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।

চলতি মাসের শুরুতে খারকিভের মেয়র ইহর তেরেখোভ বলেন, শহরটির শিশুরা যেন নিরাপদে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড স্কুল (ভূগর্ভস্থ স্কুল) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এদিকে গত জুন থেকে দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেন পাল্টা অভিযান চালাচ্ছে। তবে এ অভিযান চলছে খুব ধীরগতিতে। এর মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত খুব কম এলাকারই নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে তারা।

পূর্বাচলে প্লট কেলেঙ্কারি

img

হাসিনা রেহানা জয়সহ ১০০ জনকে নিয়ে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই। 
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।
সূত্র : বাসস

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ এর আরও খবর