img

ইউক্রেন পরাজিত হলে দায় যুক্তরাষ্ট্রের : মার্কিন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৬:০১, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৩, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ইউক্রেন পরাজিত হলে দায় যুক্তরাষ্ট্রের : মার্কিন অর্থমন্ত্রী

মার্কিন কংগ্রেস ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের দ্বন্দ্বের জেরে ইউক্রেনের জন্য অর্থ সহায়তার অনুমোদন দিতে পারছে না অর্থমন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তার অভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যদি যুদ্ধে পরাজিত হয় তাহলে এর দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে এসে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার মেক্সিকো সিটি সফরকালে সাংবাদিকদের মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি মনে করি তারা এটা বুঝতে পেরেছেন যে এটি একটি গুরুতর পরিস্থিতি। আমরা যদি ইউক্রেনের জন্য এই তহবিলের ব্যবস্থা না করতে পারি তাহলে ইউক্রেনের পরাজয়ের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী হবো।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের জন্য এই অর্থ অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সহায়তা যেন ইউক্রেনে যায় সেটি নিশ্চিতের পূর্বশর্তও এটি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে গত জানুয়ারি মাসে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের হটিয়ে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন থেকে কিয়েভের জন্য আর কোনো তহবিল অনুমোদন দেয়নি কংগ্রেস।

গত অক্টোবরে কংগ্রেসের কাছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেন, ইসরায়েল ও মার্কিন সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ১০৬ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ চায়। তবে রিপাবলিকানদের বাধায় তা কংগ্রেসে পাস হয়নি।

এর আগে গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক চিঠির মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের বাজেট পরিচালক শালান্দা ইয়াং মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার মতো সময় ও অর্থ— কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

শালান্দা ইয়াং বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই : কংগ্রেস কোনো পদক্ষেপ না নিলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার এবং মার্কিন সামরিক স্টক থেকে সরঞ্জাম সরবরাহ করার মতো অর্থ শেষ হয়ে যাবে। তহবিল জোগান দেওয়ার মতো আমাদের হাতে কোনো জাদুর ছড়া নেই। আমাদের হাতে অর্থ নেই। আমাদের সময় প্রায় শেষ।

পূর্বাচলে প্লট কেলেঙ্কারি

img

হাসিনা রেহানা জয়সহ ১০০ জনকে নিয়ে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই। 
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।
সূত্র : বাসস

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ এর আরও খবর