ইউক্রেন থেকে বিশ্বের নজর সরিয়ে নিচ্ছে হামাস ইসরাইল সংঘাত : জেলেনস্কি
প্রকাশিত :
১১:০২, ০৫ নভেম্বর ২০২৩
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে ইউক্রেন থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ সরে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি । শনিবার কিয়েভে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। জেলেনস্কি আরও দাবি করেন, রাশিয়ার একটি লক্ষ্য ছিল ইউক্রেন থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া। খবর বিবিসির।
ইউক্রেন সফরে যাওয়া উরসুলা ভন দের লিয়েনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে মধ্যপ্রাচ্যের এ যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে বিশ্বের নজর সরে যাচ্ছে।
তবে জেলেনস্কির দাবি, সবকিছু তাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে।
ইউক্রেনের প্রধান সেনা কমান্ডার ভ্যালেরি জালুঝনি সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এখন স্থবির বা স্থির পর্যায়ে আছে। আর এতে মস্কো লাভবান হচ্ছে। সামরিক শক্তিকে নতুন করে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে রাশিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত আছে। তবে এটা স্থিরতা নয়।
তবে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, আকাশপথের লড়াই এখনো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান প্রয়োজন। পরিস্থিতি পাল্টাতে বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মস্কো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে, সব হামলা প্রতিহত করা হচ্ছে।
প্রকাশিত :
১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই।
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।