img

ইউক্রেনে আরও ৩ হাজার চেচেন সেনা পাঠানোর ঘোষণা কাদিরভের

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ইউক্রেনে আরও ৩ হাজার চেচেন সেনা পাঠানোর ঘোষণা কাদিরভের

রাশিয়ার কাস্পিয়ান অঞ্চলের প্রদেশ চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর পক্ষে নতুন করে আরও তিন হাজার যোদ্ধা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই নেতা টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, এই যোদ্ধাদের সবাই অত্যন্ত লড়াকু মানসিকতার এবং লক্ষ্য অর্জনের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রত্যেকেই সেরা সামরিক সরঞ্জাম ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। ইউক্রেনে গঠিত নতুন ইউনিটে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাশিয়ান ন্যাশনাল গার্ড ফোর্সের অধীনে তারা যুদ্ধ করবে।

গত মে মাসে এক ঘোষণায় ‘পুতিনের পদাতিক’ নামে পরিচিত কাদিরভ বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীতে মোট ২৬ হাজার চেচেন সেনা পাঠানো হয়েছে। এই সেনাদের মধ্যে প্রশিক্ষিত সেনা সদস্যদের সংখ্যা ১৪ হাজার এবং স্বেচ্ছাসেবী সেনা রয়েছেন ১২ হাজার।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর রমজান কাদিরভের নির্দেশে যেমন হাজার হাজার চেচেন যোদ্ধা যোগ দিয়েছে রুশ বাহিনীর পক্ষে, তেমনি কাদিরভ বিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র চেচেন গোষ্ঠী ইউক্রেনীয় বাহিনীর পক্ষে লড়াইয়ে নেমেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। গত ২৩ জুন রুশ বাহিনী ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ‘অপারেশনে’ রীতিমতো নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার যোদ্ধারা।

নভেম্বরের শুরুর দিকে কাদিরভ জানিয়েছিলেন, ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন নিহত হওয়ার পর বাহিনীর যোদ্ধাদের একটি অংশ চেচেন বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। গত ২৪ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।

পূর্বাচলে প্লট কেলেঙ্কারি

img

হাসিনা রেহানা জয়সহ ১০০ জনকে নিয়ে গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১৬:১০, ০৬ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১শ’ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। 
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সই করা এই গেজেট বিজিপ্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রকাশ করে।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নাই। 
সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল 'ল' এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।
বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।
মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।
১৩ জানুয়ারি উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।
আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।
একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।
শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।
সূত্র : বাসস

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ এর আরও খবর