img

শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

প্রকাশিত :  ০৪:০০, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩০, ২০ এপ্রিল ২০২৪

শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে   চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনে  সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল, তিনি পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার, তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট। আজ (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট, ও ডি এ তায়েব, তিনি ২৩৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, তিনি পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন, তিনি পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা, তিনি পেয়েছেন ২২৮ ভোট, রোজিনা, তিনি পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, আলীরাজ, তিনি পেয়েছেন ২৩৯ ভোট, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, তিনি ২১৮ ভোট, শাহনূর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, নানা শাহ, তিনি পেয়েছেন ২১০ ভোট, রত্না কবির, তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট ও চুন্নু, তিনি পেয়েছেন ২৪৮ ভোট।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি, তিনি পেয়েছেন ২২০ ভোট, ও সনি রহমান, তিনি ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাইকে গ্রহণ করে নেন তিনি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।

বিনোদন এর আরও খবর

img

‘মনে হচ্ছিল ধর্ষণের শিকার হব, আমাকে হত্যা করা হবে’

প্রকাশিত :  ০৮:১০, ১৫ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের টিভি তারকা ও উদ্যোক্তা কিম কার্ডাশিয়ান ২০১৬ সালে প্যারিসের এক বিলাসবহুল হোটেলে ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি সেই ঘটনার মামলায় প্যারিসের একটি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৩ মে) ডাকাতির শিকার হওয়া সেই রাতের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আদালতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিম কার্ডাশিয়ান। 

নয় বছর আগে ঘটে যাওয়া এই ডাকাতির ঘটনার মামলার শুনানিতে কিম মুখোমুখি হন অভিযুক্তদের। 

সে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিম জানান, তিনি নিশ্চিত ছিলেন ডাকাতেরা তাকে গুলি করে হত্যা করবে। 

এ সময়, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর প্যারিস ফ্যাশন উইকের সময় হোটেলে অবস্থান করছিলেন কিম। গভীর রাতে পুলিশের পোশাক পরা দুজন মুখোশধারী অস্ত্রধারী হঠাৎ তার কক্ষে ঢুকে তাকে জিম্মি করে। এরপর কিমের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়, বিছানার পাশ থেকে তুলে নেওয়া হয় ১ কোটি ডলার মূল্যের অলংকার। যেগুলোর মধ্যে ছিল বাগ্‌দানের হীরার আংটি। এরপর তাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য কক্ষে।

কিম বলেন, ‘তখন আমার মনে হয়েছিল, দৌড়ে পালাব কি না; কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না। আমি বুঝতে পারি, ওরা যা বলছে তাই করাটাই সবচেয়ে নিরাপদ।’ 

তাকে বিছানায় ফেলে হাত বাঁধা হয় প্লাস্টিকের টাই দিয়ে। পরে পা বাঁধা হয়, কিমের পেছন থেকে বন্দুক ঠেকানো হয়। তিনি বলেন, ‘সেই মুহূর্তেই আমি বুঝতে পারি, এবার ওরা আমাকে গুলি করবে।’ ওই সময় তিনি মনে মনে প্রার্থনা করেন, যেন তার বোন কোর্টনি তাকে মৃত অবস্থায় না দেখতে পান।

কিম বলেন, ঘটনার সময় একজন তাকে টেনে নিয়ে যায়, এ সময় তার পরনে থাকা গাউন খুলে যায়। কিম বলেন, পোশাক খুলে যাওয়ার পর তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল ধর্ষণের শিকার হব, এরপর আমাকে হত্যা করা হবে।’  

আদালতে বিচারক যখন জানতে চান, তিনি কি মনে করেছিলেন তিনি মারা যাবেন? তখন কিম মৃদু স্বরে বলেন, ‘আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করেছিলাম, আমি মরে যাচ্ছি।’

মঙ্গলবারের শুনানিতে অভিযুক্তদের একজন, ৭১ বছর বয়সী অ্যাওমার আইত খেদাচে আদালতে কিমের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন। জবাবে কিম বলেন, ‘আমি আপনাকে ক্ষমা করেছি।’ তবে তিনি যোগ করেন, ‘কিন্তু এতে আমার ট্রমা কিংবা জীবনকে যেভাবে বদলে দিয়েছে, সেটা বদলায় না।’

তবে অন্য অভিযুক্তদের উদ্দেশে কোনো মন্তব্য করেননি কিম। এমনকি তার সাবেক ড্রাইভার গ্যারি মাদার, যিনি তার অবস্থান ডাকাতদের জানিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাকেও এড়িয়ে যান কিম।

অভিযুক্ত ইউনিস আব্বাসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কিম, যিনি ২০২১ সালে ‘আই হেল্ড আপ কিম কার্ডাশিয়ান’ নামে একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন। 

কিম বলেন, ‘ও শুধু এই ঘটনা ঘটায়নি, সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে বই লিখে টাকা আয় করছে—এটা আমাকে খুব আহত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবার দেওয়া ঘড়ি, আমার স্মৃতি—এসব তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।’

শুনানিতে কিম জানান, ঘটনার পর তার জীবনে এক রকম ভীতি ঢুকে গেছে। তিনি বলেন, ‘এখন রাতে আমি একাধিক নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ঘুমাতে পারি না। ঘটনার পর আমার মনে হতো, আমি বাইরে বের হলে কেউ বুঝে যাবে, বাড়ি খালি আছে। তারপরই হয়তো আবার কিছু একটা ঘটবে।’

কিম বলেন, এই মামলায় নিজে উপস্থিত থেকে সত্য বলা তাঁর দায়িত্ব। ‘আমি একজন ভুক্তভোগী, আমার সত্যটা বলার জায়গা এটাই। এটা আমার পরিণতি, আমি চেয়েছি এটাকে শেষ করতে।’ বলেন তিনি।

কিম আরও বলেন, ‘এটা খুব ভয়ের, জীবন বদলে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। আমি চাই না, আর কেউ কখনো এমন ঘটনার শিকার হোক।’