img

নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৩:৫১, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। বিশ্বের ৫৪ তম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে \'আর্টেমিস চুক্তি\' সেই করেছে বাংলাদেশ।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর এই  চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রুসি অ্যান জ্যাকবসনের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন এই চুক্তি সই করেন।

বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাকাশ গবেষণায় নাসা যে ধরনের তথ্য এবং কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো বাংলাদেশে শেয়ার করা হবে। বাংলাদেশ এখন মহাকাশ গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী এবং এ উদ্দেশ্যে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এই চুক্তির মাধ্যমে, নাসার অভিজ্ঞতা এবং কারিগরি জ্ঞান বাংলাদেশের তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনিময় হবে, যা বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।

এতদিন, নাসার মহাকাশ অভিযানগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ ছিল না, কিন্তু এই চুক্তির পর বাংলাদেশের গবেষকদের জন্য বিশ্বমানের তথ্য এবং অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণায় একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।

img

দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

প্রকাশিত :  ০৫:২২, ২০ মে ২০২৫

স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটি ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।