সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মারা গেছেন
প্রকাশিত :
০৭:২৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও নরসিংদী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মারা গেছেন।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নরসিংদীতে হত্যা, আক্রমণ ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার তাকে কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৯ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিএনপির কর্মী আবদুল হাকিম চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার সঙ্গে থাকা আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবার (সন্ধ্যা) রাউজানের মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় এই হামলা ঘটে।
নিহত হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচ খাইন এলাকার মৃত আলী মদন চৌধুরীর ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না। হাকিম ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে হাকিম তার গ্রামের খামারবাড়ি থেকে অপর একজনসহ তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন। মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে একদল মোটরসাইকেল আরোহী অস্ত্রধারী তার গাড়ির পিছু নেয়। এরপর পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে তারা আবদুল হাকিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। এ সময় দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদ বলেন, নিহত আবদুল হাকিম বিএনপির সমর্থক ও একজন ব্যবসায়ী। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে নিহত আবদুল হাকিম বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ২০২২ সালের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়ার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পুনরায় বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে সক্রিয় হন। কর্ণফুলী এলাকায় অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি হাটহাজারী থানা অংশে হয়েছে, আবার রাউজান থানার শেষ অংশে। দুই থানা-পুলিশ যৌথভাবে খুনিদের আটকে চেষ্টা করছে।