img

খাগড়াছড়িতে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিকেল বোর্ড

প্রকাশিত :  ০৬:৩০, ০১ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিকেল বোর্ড

খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির সেই মারমা শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত যাচাইয়ের ১০টি সূচকের প্রতিটিই ‘স্বাভাবিক’ উল্লেখ করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরীক্ষায় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর শরীরের ভেতরে ও বাইরে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন মেলেনি।

২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পর দিন ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।

মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বাধীন খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা বলেন, ধর্ষণের আলামত শনাক্ত করার ১০টি সূচকের সবগুলোই স্বাভাবিক পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে তার সঙ্গে স্বাক্ষর করেছেন আরও দুই চিকিৎসক ডা. মীর মোশারফ হোসেন ও ডা. নাহিদা আক্তার।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহমেদ জানান, প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সেনা রিজিয়ন কমান্ডাররা অভিযোগ করেছেন, ইউপিডিএফ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে ইউপিডিএফ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, যা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা বলেন, পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পেছনে ইউপিডিএফ দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঘটনার পর জুম্ম ছাত্র-জনতা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ ডাকে। তবে দুর্গাপূজা ও প্রশাসনের আশ্বাসে তা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

গত কয়েকদিনের সংঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। সহিংসতায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিস, দোকানপাট, বসতঘর, গুদাম ও মোটরসাইকেল। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

রাজধানীতে যুবদল নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় তাকে ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যা করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পল্লবীর ব্লক সির ১৩ রোডে যুব দলের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গোলাম কিবরিয়া নিহত হন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এ ঘটনা জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের মৃতদেহ সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক জানান, গুলিবিদ্ধ কিবরিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় সোহরাওয়াদী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে, যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পল্লবী এলাকা ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর