img

ফেনীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে পড়লো দোকানে, নিহত ৩

প্রকাশিত :  ০৮:২৫, ০২ অক্টোবর ২০২৫

ফেনীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে পড়লো দোকানে, নিহত ৩

ফেনী জেলার দাগনভূঞায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস উল্টে গিয়ে সড়কের পাশের দোকানে পড়েছে। এতে দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সিলোনিয়া বাজার সংলগ্ন লাকি রোডের মুখে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর এলাকার শহিদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০) ও একই উপজেলার দক্ষিণ জয়লস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. শ্রাবণ (২০)। নিহত অন্য নারীর এখনও পরিচয় মেলেনি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেনীর মহিপাল থেকে নোয়াখালীগামী সুগন্ধা পরিবহনের বাসটি সিলোনিয়া বাজার সংলগ্ন লাকি রোডের মুখে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। পরে বাসটি উল্টে একটি দোকানের ভেতরে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মূলত বেপরোয়া গতি ও বৃষ্টির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


img

মোটরসাইকেলে এসে বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত :  ১৬:১২, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিএনপির কর্মী আবদুল হাকিম চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার সঙ্গে থাকা আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবার (সন্ধ্যা) রাউজানের মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় এই হামলা ঘটে।

নিহত হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচ খাইন এলাকার মৃত আলী মদন চৌধুরীর ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না। হাকিম ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে হাকিম তার গ্রামের খামারবাড়ি থেকে অপর একজনসহ তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন। মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে একদল মোটরসাইকেল আরোহী অস্ত্রধারী তার গাড়ির পিছু নেয়। এরপর পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে তারা আবদুল হাকিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। এ সময় দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদ বলেন, নিহত আবদুল হাকিম বিএনপির সমর্থক ও একজন ব্যবসায়ী। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। 

একটি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে নিহত আবদুল হাকিম বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ২০২২ সালের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়ার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পুনরায় বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে সক্রিয় হন। কর্ণফুলী এলাকায় অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি হাটহাজারী থানা অংশে হয়েছে, আবার রাউজান থানার শেষ অংশে। দুই থানা-পুলিশ যৌথভাবে খুনিদের আটকে চেষ্টা করছে।


বাংলাদেশ এর আরও খবর