img

বজ্রপাতে সারা দেশে ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৫:০২, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

বজ্রপাতে সারা দেশে ৯ জনের মৃত্যু

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন কৃষক ও দুজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রোববার এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কুমিল্লা

রোববার বিকালে হোমনার ভবানীপুর খেয়াঘাটে বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

মৃতরা হলেন- উপজেলার নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজী মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৫) ও জাকিয়া (২৫) এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাহিনুর ইসলামের ছেলে রাশেদ মিয়া (২২)। 

হোমনা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঝিনাইদহ

সকালে মাঠে কাজ করার সময় পৃথক বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শমসের বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস (২৮) ও শৈলকূপার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫)।  

শৈলকূপা ও সদর থানার ওসি মাসুম খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন দুজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ

বিকালে আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে ওয়াসিম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ওয়াসিম উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।

আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুদ্দিন বলেন, মাঠ থেকে গরু আনতে গিজে বজ্রপাতে ওয়াসিমের মৃত্যু হয়েছে।

গাইবান্ধা

দুপুরে ‎গাইবান্ধার সাঘাটায় বজ্রপাতে আব্দুল আজিজ (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। 

সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম

বিকালে নাগেশ্বরীতে পৃথক বজ্রপাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলো- উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ বাবলু মিয়া (৭)। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। এছাড়া উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সহিবের মৃত্যু হয়েছে।


বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

বেহাল সড়কে যানজটে আটকা উপদেষ্টা, পরে মোটরসাইকেলে চড়ে পরিদর্শনে

প্রকাশিত :  ০৯:৩৪, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫০, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত মাত্র ১২ কিলোমিটার পথ। স্বাভাবিক সময়ে এ পথ পাড়ি দিতে লাগে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা ও সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে লেগে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

এই যানজটের ভোগান্তি থেকে রেহাই পাননি খোদ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও। আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে তিনি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ পরিদর্শনে এসে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়েন। পরে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছান।

সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ১১টায় আশুগঞ্জ থেকে রওনা হন উপদেষ্টা। বেলা ১টার সময়েও বিশ্বরোড মোড়ে পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাহাদুরপুর থেকে মোটরসাইকেলে উঠতে বাধ্য হন। তার গাড়িবহর তখনো আটকা ছিল আশুগঞ্জ এলাকাতেই।

এর আগে সকালে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। পরে সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে আশুগঞ্জের হোটেল উজানভাটিতে যাত্রাবিরতি করেন। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করলে আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর এলাকায় তীব্র যানজটে আটকা পড়েন।

জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। দীর্ঘদিন ধরে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়ে চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

গত রোববার থেকে উপদেষ্টার সফর উপলক্ষে সড়কের খানাখন্দ ভরাটের কাজ শুরু হয়। এক পাশ বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ চলায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে তিন দিন ধরেই তীব্র যানজট চলছে মহাসড়কের এই অংশে।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম জানান, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। পথে আশুগঞ্জের মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’


বাংলাদেশ এর আরও খবর