img

সাজেকের শিয়ালদাহ পাড়ায় পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া মুমূর্ষু শিশু নমি ত্রিপুরার জীবন রক্ষা করল বিজিবি

প্রকাশিত :  ১৭:০৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাজেকের শিয়ালদাহ পাড়ায় পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া মুমূর্ষু শিশু নমি ত্রিপুরার জীবন রক্ষা করল বিজিবি

পার্বত্য রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম শিয়ালদাহ পাড়ায় পাহাড় থেকে পড়ে গুরুতর আহত ৯ বছরের শিশু নমি ত্রিপুরার জীবন রক্ষা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন (৫৪ বিজিবি) এর দ্রুত পদক্ষেপ ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবায় শিশুটির জীবন রক্ষা পেলো। 

শিশুটির পরিবার জানায়, আজ দুপুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে জুমে সবজি আনতে গিয়েছিল নমি ত্রিপুরা। পাহাড় থেকে নামার সময় পা পিছলে নিচের ছড়ায় পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে সে। শিশুটির মায়ের চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। আশপাশে কোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় শিশুটিকে দ্রুত বিজিবি\'র বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরবর্তীতে বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের (৫৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দিন ফারুকীর দিকনির্দেশনায় বিওপির মেডিকেল সহকারী সিপাহী হাফিজ শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং ব্যাটালিয়ন সদরের মেডিকেল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এলাকাবাসী জানান, দুর্গম এলাকায় কোনো হাসপাতাল না থাকায় চিকিৎসার জন্য বিজিবি-ই তাদের একমাত্র ভরসা। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে নমি ত্রিপুরার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হতো না বলে তারা জানান। এজন্য বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য, এর আগেও বাঘাইহাটের দুর্গম নিউথাংলাক পাড়ায় বজ্রপাতে আহত এক মুমূর্ষ বিধবা নারীকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে জীবন রক্ষা করে বিজিবি।


img

মোটরসাইকেলে এসে বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত :  ১৬:১২, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিএনপির কর্মী আবদুল হাকিম চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার সঙ্গে থাকা আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মঙ্গলবার (সন্ধ্যা) রাউজানের মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় এই হামলা ঘটে।

নিহত হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচ খাইন এলাকার মৃত আলী মদন চৌধুরীর ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী অনুসারী ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না। হাকিম ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে হাকিম তার গ্রামের খামারবাড়ি থেকে অপর একজনসহ তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি চালকের পাশের আসনে বসা ছিলেন। মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে একদল মোটরসাইকেল আরোহী অস্ত্রধারী তার গাড়ির পিছু নেয়। এরপর পানি শোধনাগার এলাকায় পৌঁছালে তারা আবদুল হাকিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। এ সময় দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদ বলেন, নিহত আবদুল হাকিম বিএনপির সমর্থক ও একজন ব্যবসায়ী। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। 

একটি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে নিহত আবদুল হাকিম বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ২০২২ সালের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়ার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পুনরায় বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে সক্রিয় হন। কর্ণফুলী এলাকায় অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি হাটহাজারী থানা অংশে হয়েছে, আবার রাউজান থানার শেষ অংশে। দুই থানা-পুলিশ যৌথভাবে খুনিদের আটকে চেষ্টা করছে।