img

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখবে এলাচ, খেতে হবে যেভাবে

প্রকাশিত :  ০৭:২৬, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখবে এলাচ, খেতে হবে যেভাবে

রান্নার স্বাদ বাড়ানোতে মসলা হিসেবে এলাচের তুলনা নেই। কিন্তু স্বাদ ছাড়াও এলাচের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এলাচের পানি খেলে পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে আপনাকে। 

কীভাবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক— 

. রাতে এক গ্লাস পানিতে ৪ থেকে ৫টি এলাচ ভিজিয়ে রাখুন।

. সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করুন। এটি আপনাকে পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

. আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলেন, এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও এসিডিটি দূর হয়, পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও দূর হয়। এটি দ্রুত এবং উন্নত হজমে সহায়তা করে।

. এলাচের পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতেও সাহায্য করে।

. এলাচ একটি প্রাকৃতিক মুখশুদ্ধি। এর পানি পান করা মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া কমাতেও উপকারী হতে পারে। এলাচের পানি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।

. এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

আপনি যদি এলাচ পানি খাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে চার থেকে পাঁচটি গোটা এলাচ দানা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন এবং এরপর এক ঘণ্টা কিছু খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। এতে এই পাঁচটি রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।


img

শীতে চুলের জন্য কোন তেল ভালো?

প্রকাশিত :  ১০:১৫, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতকালটা ত্বক এবং চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর । শীতকালে চুলের বৃদ্ধি যেমন কমে যায় , তেমনি ভেঙেও যায়। তবে সঠিক তেল বেছে নেওয়ার মাধ্যমে, আপনি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে , আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারেন। নিয়মিত তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুতও হয়। 

এই শীতে চুলের পুষ্টি জোগাতে যেসব তেল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন-

নারকেল তেল

নারকেল তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করে এবং প্রোটিন ক্ষয় রোধ করে। শীতকালে চুল ভঙ্গুর এবং নিস্তেজ হয়ে গেলে এই তেল তা মেরামতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। ভালো ফল পেতে নারকেল তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন যাতে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত হয় । নিয়মিত এভাবে তেল মালিশ করলে মাথার ত্বকের চুলকানি, শুষ্কতা দূর করে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। 

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল চুলের গোড়া শক্তিশালী করে। রেসিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই তেল রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করে। নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে এই তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।  

বাদাম তেল

বাদাম তেল ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর। ঘন ঘন এই তেল ব্যবহারের ফলে চুল নরম হয়, শীতের কারণে শুষ্কতাও হ্রাস পায়। এটি দ্রুত শোষিত হয়। প্রতিদিন বা রাতে চুলের যত্নের জন্য এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

আমলকীর তেল

আমলকীর তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্তিশালী এবং চুল পড়া রোধ হয়। ফলের মতো, এই তেলটিও ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে  চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। 

তিলের তেল

তিলের তেল প্রাকৃতিকভাবে উষ্ণ, ঠান্ডা আবহাওয়ায় ম্যাসাজের জন্য আদর্শ । এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, শুষ্কতা কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। এই তেল মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত তিলের তেল ব্যবহারে শীতকালে চুল হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর। 

অলিভ অয়েল

শীতের দিনগুলিতে অলিভ অয়েল চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের কিউটিকল মসৃণ করতে সাহায্য করে। এটি চুল ভাঙা থেকে রোধ করে। শীতে চুল সুন্দর করতে নিয়মিত এই তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন । 

সরিষার তেল

সরিষার তেল মাথার ত্বককে উষ্ণ করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ফলিকলকে শক্তিশালী করে, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। ভালো ফল পেতে নারকেল তেল বা তিলের তেলের সাথে এই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।