img

চোখ ভালো রাখার '২০-২০-২০ ব্যায়াম' সম্পর্কে জানেন?

প্রকাশিত :  ০৯:০০, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

চোখ ভালো রাখার '২০-২০-২০ ব্যায়াম' সম্পর্কে জানেন?

আজকের ডিজিটাল যুগে আমরা প্রায় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে কাটাই। পড়াশোনা, অফিসের কাজ, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়া—সবকিছুই এখন স্ক্রিনে। তবে এত স্ক্রিন টাইম আমাদের চোখের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। চোখের ক্লান্তি, শুষ্কতা, চোখে লালচে ভাব, মাথাব্যথা, চোখের ভিজন, অস্পষ্টতা—সবই এখন সাধারণ সমস্যা। এসব সমস্যাগুলো কমানো যায় খুব সহজ একটি ট্রিকের মাধ্যমে।

২০-২০-২০ নিয়ম কী

২০-২০-২০ মূলত চোখের সুরক্ষার জন্য একটি নিয়ম যেখানে প্রতি ২০ মিনিট পর পর, ২০ ফুট দূরের কোনো জিনিসের দিকে অন্তত ২০ সেকেন্ড দৃষ্টি সরিয়ে রাখার অনুশীলন। এই অভ্যাস চোখের ফোকাসিং পেশি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, চোখের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখকে সুস্থ রাখে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

স্ক্রিনের কাছাকাছি দীর্ঘ সময় চোখের পেশিগুলো ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকে। এর ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, পেশি ক্লান্ত হয়, চোখে জ্বালা বা লালচে ভাব দেখা দেয়। ২০-২০-২০ রুল চোখকে ছোট বিরাম দেয়, যা ডিজিটাল ভিশন সিন্ড্রোম বা কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোমের ঝুঁকি কমায়।

প্র্যাকটিক্যাল টিপস—

রিমাইন্ডার ব্যবহার করুন: স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে প্রতি ২০ মিনিটে চোখের বিরামের জন্য রিমাইন্ডার সেট করুন।

পরিবেশের আলো ঠিক রাখুন: খুব উজ্জ্বল বা খুব অন্ধকার স্ক্রিন চোখের জন্য চাপ তৈরি করে। চারপাশের আলো ও স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ব্যাল্যান্স করুন।

পলক ফেলতে ভুলবেন না: স্ক্রিনের দিকে বেশি তাকালে আমরা কম পলক ফেলি। চোখ শুষ্ক থাকলে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

দূরে তাকানোর অভ্যাস করুন: জানালার বাইরে বা রুমের অন্য প্রান্তে তাকানো চোখের পেশিকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে।

ছোট বিরতি নিন: শুধু ২০-২০-২০ নয়, মাঝে মাঝে পুরো স্ক্রিন থেকে বিরতি নিন। চোখের ব্যায়াম, হালকা ম্যাসাজ বা চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম দিন।

স্ক্রিনের পজিশন ঠিক রাখুন: স্ক্রিন চোখের থেকে ২০-৩০ ইঞ্চি দূরে এবং চোখের লেভেলের নিচে রাখা ভালো। এটি চোখের ক্লান্তি কমায়।


 

img

শীতে চুলের জন্য কোন তেল ভালো?

প্রকাশিত :  ১০:১৫, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতকালটা ত্বক এবং চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর । শীতকালে চুলের বৃদ্ধি যেমন কমে যায় , তেমনি ভেঙেও যায়। তবে সঠিক তেল বেছে নেওয়ার মাধ্যমে, আপনি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে , আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারেন। নিয়মিত তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুতও হয়। 

এই শীতে চুলের পুষ্টি জোগাতে যেসব তেল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন-

নারকেল তেল

নারকেল তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করে এবং প্রোটিন ক্ষয় রোধ করে। শীতকালে চুল ভঙ্গুর এবং নিস্তেজ হয়ে গেলে এই তেল তা মেরামতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। ভালো ফল পেতে নারকেল তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন যাতে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত হয় । নিয়মিত এভাবে তেল মালিশ করলে মাথার ত্বকের চুলকানি, শুষ্কতা দূর করে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। 

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল চুলের গোড়া শক্তিশালী করে। রেসিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই তেল রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করে। নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে এই তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।  

বাদাম তেল

বাদাম তেল ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর। ঘন ঘন এই তেল ব্যবহারের ফলে চুল নরম হয়, শীতের কারণে শুষ্কতাও হ্রাস পায়। এটি দ্রুত শোষিত হয়। প্রতিদিন বা রাতে চুলের যত্নের জন্য এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

আমলকীর তেল

আমলকীর তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্তিশালী এবং চুল পড়া রোধ হয়। ফলের মতো, এই তেলটিও ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে  চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। 

তিলের তেল

তিলের তেল প্রাকৃতিকভাবে উষ্ণ, ঠান্ডা আবহাওয়ায় ম্যাসাজের জন্য আদর্শ । এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, শুষ্কতা কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। এই তেল মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত তিলের তেল ব্যবহারে শীতকালে চুল হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর। 

অলিভ অয়েল

শীতের দিনগুলিতে অলিভ অয়েল চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের কিউটিকল মসৃণ করতে সাহায্য করে। এটি চুল ভাঙা থেকে রোধ করে। শীতে চুল সুন্দর করতে নিয়মিত এই তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন । 

সরিষার তেল

সরিষার তেল মাথার ত্বককে উষ্ণ করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ফলিকলকে শক্তিশালী করে, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। ভালো ফল পেতে নারকেল তেল বা তিলের তেলের সাথে এই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।