img

ইস্টহ্যান্ডস ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট রেকর্ড অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলভাবে সমাপ্ত

প্রকাশিত :  ২০:১২, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ইস্টহ্যান্ডস ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট রেকর্ড অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলভাবে সমাপ্ত

লন্ডন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : গত রবিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ইলফোর্ডের রেডব্রিজ স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ২০২৫। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ১০৮টি দল অংশগ্রহণ করে, যা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

এই টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার জন্য তহবিল সংগ্রহ। অভিজ্ঞ ও নবীন খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে প্রতিযোগিতা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং কমিউনিটি ও চ্যারিটির এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়।

 এ টুর্নামেন্টে তিনটি বিভাগে খেলা হয়। বিজয়ীরা চার শত পাউন্ড , রানার-আপ দুই শত পাউন্ড এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীরা ট্রফি প্রদান করা হয়।

গ্রুপ এ-তে চ্যাম্পিয়ন হন ফিফি ও মিতুন, গ্রুপ সি-তে জাহিদ ও ফারিস, আর গ্রুপ ডি-তে মুরাদ ও বাবুল।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দার, সাবেক মেয়র কাউন্সিলর জুসনা ইসলাম, ট্রাভেললিংকের সিইও সামি সানাউল্লাহ,  লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমি হেড টিচার আশিদ আলী, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুহিত উদ্দিন, হাবিব রহমান, দিলোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান, ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরীসহ  কমিউনিটির অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

টুর্নামেন্টের আয়োজোনে  ও সহযোগীতায় সফল ভাবে নেতৃত্ব দেন সাবেক কাউন্সিলর আতা রহমান। সহায়তায় ছিলেন হাবিব রহমান, মাহিদ চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, বাবুল হক, সুহান খান, শামীম ও আতীক। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন কিনু, মকবুল, নোবিল ও সিপন।

স্পনসররা ছিলেন: আইডিয়া অ্যান্ড বিল্ড, কারপ্ল্যানেট, ফিস্ট অ্যান্ড মিষ্টি, ইয়াকি ইয়্যা!, কারজোন, ট্রাভেল লিংক ওয়ার্ল্ডওয়াইড, মাহি অ্যান্ড কো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, অ্যাম্পল এস্টেট এজেন্ট, কিংডম সলিসিটর্স, আইটেক ও চ্যানেল এস।

প্রতিযোগিতার পাশাপাশি উৎসবমুখর পরিবেশে ছিল রিফ্রেশমেন্ট, অংশগ্রহণকারীদের জন্য ফ্রি টি-শার্ট এবং স্পনসর ও স্বেচ্ছাসেবকদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ইস্টহ্যান্ডসের চেয়ার নবাব উদ্দিন বলেন, “১০৮টি দলের অংশগ্রহণ আমাদের সব প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি আমাদের কমিউনিটির শক্তি ও ব্যাডমিন্টনের প্রতি ভালোবাসাকে প্রমাণ করে, পাশাপাশি একটি মহৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার প্রতিফলন। আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ সকল খেলোয়াড়, সমর্থক ও স্পনসরদের প্রতি।”

এই টুর্নামেন্ট শুধু উচ্চমানের খেলার প্রদর্শনীই নয়, বরং ইস্টহ্যান্ডসের বাংলাদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিকেও আরও দৃঢ়ভাবে সামনে এনেছে। 

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

গাজায় গণহত্যা বন্ধে নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের আবেগঘন ও জোরালো বক্তব্য

প্রকাশিত :  ১৪:২০, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

"আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা কখনো দেখিনি: মেয়র লুৎফুর

-  “ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?”

- “প্রয়োজন প্রকৃত অর্থে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা⁠।”

- “দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু।”

-------------------------------------------------------------------------------------

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বুধবার ফুল কাউন্সিল মিটিং-এ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে এক আবেগঘন ও শক্তিশালী বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তেও নারী ও শিশুরা অবিরামভাবে বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। তাদের যন্ত্রণার গভীরতা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা আমি কখনও দেখিনি।

মেয়র জানান, গত দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু, নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রানচেস্কা আলবানেসের মতে, প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত ৬৮০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, এটিকে গণহত্যা হিশেবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের পরও গাজায় যা ঘটছে তাকে গণহত্যা বলতে লেবার সরকার এখনো অস্বীকার করছে। বরং ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। আমাদের দরকার বয়কট, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রকৃত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা।

মেয়র আরও বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সরকার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেছে। এই স্বীকৃতি আসতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৭৮ বছর। কিন্তু ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?

তিনি জোর দিয়ে বলেন,গাজার গণহত্যাকে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জরুরি প্রয়োজন এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হওয়া। আমাদের যা কিছু করার সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে আমাদের এই গণহত্যা থামাতে হবে।

মেয়র লুৎফুর স্মরণ করিয়ে দেন, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল প্রথম সংস্থাগুলোর একটি, যারা কর্মজীবী মানুষের অবসর তহবিলকে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত কোম্পানি থেকে মুক্ত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইহুদি ও মুসলিম কমিউনিটির প্রতি সংহতি 

মেয়র একই সময়ে ম্যানচেস্টারের হিটন পার্ক সিনাগগে সংঘটিত ইহুদি-বিরোধী হামলা এবং ইস্ট সাসেক্সের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, ইহুদিদের সর্বাপেক্ষা পবিত্র দিন ইয়োম কিপুরে এই হামলা গভীরভাবে নিন্দনীয়। একইভাবে ইসলামবিদ্বেষমূলক ঘৃণাজনিত অপরাধও আমাদের সমাজে কোনো স্থান পেতে পারে না। 

তিনি নিহতদের পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঐক্যের বার্তা: বিভাজনের মুখেও ঐক্যবদ্ধ টাওয়ার হ্যামলেটস

মেয়র বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৈচিত্র্যময় বারা, কিন্তু একই সঙ্গে অন্যতম ঐক্যবদ্ধও। এখানে ৯০% মানুষ বলেন, ভিন্ন পটভূমির মানুষদের সঙ্গে তারা ভালোভাবে মিশে চলেন। 

সম্প্রতি কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত টাউন হল ওপেন ডে ও ব্রিক লেন কারি ফেস্টিভ্যালে প্রায় ২২,৫০০ মানুষ একত্রিত হয়েছেন — যা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন মেয়র।

বাসিন্দাদের জন্য বিনিয়োগ, কাউন্সিলের অঙ্গীকার

মেয়র তার কিছু উন্নয়ন কাজের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ২০২২ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমার লক্ষ্য একটাই — আমাদের বাসিন্দাদের জন‍্য বিনিয়োগ করা। 

তিনি উল্লেখ করেন, কাউন্সিল ইতিমধ্যে সার্বজনীন বিনামূল্যের স্কুল খাবার, বিনামূল্যে ইউনিফর্ম অনুদান, বিনামূল্যে হোম কেয়ার, সাশ্রয়ী হাউজিং, শীতকালীন জ্বালানি ভাতা, বিনামূল্যে সাঁতারসহ নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর