img

লন্ডনে আত্হারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদ হোসেনকে নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত :  ১০:২২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

লন্ডনে আত্হারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদ হোসেনকে নিয়ে মতবিনিময় সভা

গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আত্হারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-এর সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব ফরিদ হোসেন-এর ইংল্যান্ড সফর উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত সোমবার (৬ অক্টোবর) পূর্ব লন্ডনের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মোহাম্মদ দিলওয়ার হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জনাব আনোয়ারুল মুমিন (জাহাঙ্গীর স্যার)।

সভায় বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা, শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদ হোসেন-কে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।

সভায় জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গোলাপগঞ্জেরই কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট কবির আহমদ বাবর।

সভায় উপস্থিত সবাই তাঁর প্রতি অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, তাঁর নেতৃত্বে আত্হারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ আরও সমৃদ্ধ হবে।

অনুষ্ঠানে লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য —

মারুফ রশীদ, জিল্লুল করিম চৌধুরী, জাহেদ হোসেন, এমদাদ হোসেন টিপু, কাজি নজরুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ জোয়ারদার, শাহীন আহমেদ, মকসুস আহমেদ, আব্দুস সুবহান রুহেল, জুনুর, মকসুদ আহমেদ, মাসুম আহমেদ, মো: আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল প্রমুখ।

সভা শেষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা প্রিয় বিদ্যাপীঠ আত্হারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সার্বিক উন্নয়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

প্রবাসে থেকেও প্রিয় বিদ্যালয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও মমত্ববোধই এই সভার মূল বার্তা হয়ে ওঠে। 


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

গাজায় গণহত্যা বন্ধে নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের আবেগঘন ও জোরালো বক্তব্য

প্রকাশিত :  ১৪:২০, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

"আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা কখনো দেখিনি: মেয়র লুৎফুর

-  “ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?”

- “প্রয়োজন প্রকৃত অর্থে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা⁠।”

- “দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু।”

-------------------------------------------------------------------------------------

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বুধবার ফুল কাউন্সিল মিটিং-এ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে এক আবেগঘন ও শক্তিশালী বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তেও নারী ও শিশুরা অবিরামভাবে বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। তাদের যন্ত্রণার গভীরতা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার জীবদ্দশায় মানবজীবনের প্রতি এমন অবহেলা আমি কখনও দেখিনি।

মেয়র জানান, গত দুই বছরে প্রায় ৬৭,০০০ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে অন্তত ১৮,৫০০ শিশু, নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রানচেস্কা আলবানেসের মতে, প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত ৬৮০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, এটিকে গণহত্যা হিশেবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের পরও গাজায় যা ঘটছে তাকে গণহত্যা বলতে লেবার সরকার এখনো অস্বীকার করছে। বরং ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। আমাদের দরকার বয়কট, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রকৃত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা।

মেয়র আরও বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সরকার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করেছে। এই স্বীকৃতি আসতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৭৮ বছর। কিন্তু ফিলিস্তিনী জনগণ কি এমন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চায়, যে রাষ্ট্র তাদেরকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে?

তিনি জোর দিয়ে বলেন,গাজার গণহত্যাকে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জরুরি প্রয়োজন এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হওয়া। আমাদের যা কিছু করার সামর্থ্য আছে, তা দিয়ে আমাদের এই গণহত্যা থামাতে হবে।

মেয়র লুৎফুর স্মরণ করিয়ে দেন, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল প্রথম সংস্থাগুলোর একটি, যারা কর্মজীবী মানুষের অবসর তহবিলকে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত কোম্পানি থেকে মুক্ত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

ইহুদি ও মুসলিম কমিউনিটির প্রতি সংহতি 

মেয়র একই সময়ে ম্যানচেস্টারের হিটন পার্ক সিনাগগে সংঘটিত ইহুদি-বিরোধী হামলা এবং ইস্ট সাসেক্সের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, ইহুদিদের সর্বাপেক্ষা পবিত্র দিন ইয়োম কিপুরে এই হামলা গভীরভাবে নিন্দনীয়। একইভাবে ইসলামবিদ্বেষমূলক ঘৃণাজনিত অপরাধও আমাদের সমাজে কোনো স্থান পেতে পারে না। 

তিনি নিহতদের পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ঐক্যের বার্তা: বিভাজনের মুখেও ঐক্যবদ্ধ টাওয়ার হ্যামলেটস

মেয়র বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৈচিত্র্যময় বারা, কিন্তু একই সঙ্গে অন্যতম ঐক্যবদ্ধও। এখানে ৯০% মানুষ বলেন, ভিন্ন পটভূমির মানুষদের সঙ্গে তারা ভালোভাবে মিশে চলেন। 

সম্প্রতি কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত টাউন হল ওপেন ডে ও ব্রিক লেন কারি ফেস্টিভ্যালে প্রায় ২২,৫০০ মানুষ একত্রিত হয়েছেন — যা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন মেয়র।

বাসিন্দাদের জন্য বিনিয়োগ, কাউন্সিলের অঙ্গীকার

মেয়র তার কিছু উন্নয়ন কাজের কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ২০২২ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমার লক্ষ্য একটাই — আমাদের বাসিন্দাদের জন‍্য বিনিয়োগ করা। 

তিনি উল্লেখ করেন, কাউন্সিল ইতিমধ্যে সার্বজনীন বিনামূল্যের স্কুল খাবার, বিনামূল্যে ইউনিফর্ম অনুদান, বিনামূল্যে হোম কেয়ার, সাশ্রয়ী হাউজিং, শীতকালীন জ্বালানি ভাতা, বিনামূল্যে সাঁতারসহ নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর