
লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো বিসিএ শেফ কুক-অফ কম্পিটিশন ২০২৫: অংশ নিলেন যুক্তরাজ্যের ৫০ জন নামকরা শেফ

১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কারি ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত ১৮তম “বিসিএ শেফ কুক-অফ কম্পিটিশন ২০২৫”। সংগঠনের শেফ অব দ্য ইয়ার কমিটির প্রধান সামছুল আলম খান শাহীন ও টিম মেম্বারদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা পরিণত হয় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট শিল্পের এক প্রাণবন্ত উৎসবে।
গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত লন্ডনের হ্যামারস্মিথ অ্যান্ড ফুলহাম কলেজে জমজমাট পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতাটি। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, লেস্টার, কার্ডিফসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ৫০ জন খ্যাতনামা রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ের শেফ এতে অংশ নেন।
বিচারকদের সামনে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কুকিং দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মন জয় করার প্রতিযোগিতা চলে প্রাণবন্ত পরিবেশে। এবারের আসরে নারী শেফ ও তরুণ শেফদের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন শেফ অব দ্য ইয়ার কমিটির প্রধান শামসুল আলম খান শাহীন এবং বিসিএ মেম্বারশিপ সেক্রেটারি ইয়ামিন দিদার। প্রতিযোগিতা চলাকালীন এবং সমাপনী পর্বে বক্তব্য রাখেন বিসিএ প্রেসিডেন্ট ওলি খান এমবিই, সেক্রেটারি জেনারেল মিঠু চৌধুরী, এওয়ার্ড কমিটির কনভেনার আতিক রহমান বি’ ই’এম, চিফ ট্রেজারার টিপু রহমান, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি নাজ ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জামাল উদ্দিন মকদ্দস, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম (ওবিই) এবং মোঃ কামাল ইয়াকুবসহ বিভিন্ন রিজিওনের নেতৃবৃন্দ ও ক্যাটারার্সরা।
বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্রিটেনের অভিজ্ঞ শেফ, রন্ধনশিল্প বিশেষজ্ঞ এবং বিসিএ-সম্পৃক্ত প্রবীণ ক্যাটারার্স। তাঁদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে বাছাই করা হবে এ বছরের সেরা দশ শেফ, যারা চূড়ান্ত পর্বে প্রতিযোগিতা করবেন। আগামী ৯ নভেম্বর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার পার্ক প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বিসিএ এওয়ার্ড ও গালা ডিনার ২০২৫। সেখানে ব্রিটেনের রাজনীতিক, সংসদ সদস্য, স্থানীয় কাউন্সিলর ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে মর্যাদাপূর্ণ “শেফ অব দ্য ইয়ার” পুরস্কার।
অনুষ্টানে বক্তারা বলেন,বাংলাদেশি কারি ইন্ডাস্ট্রির এই প্রতিযোগিতা শুধু রান্নার মানোন্নয়ন নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার এক অনন্য মাধ্যম।রন্ধনশিল্পের উৎকর্ষ, সৃজনশীলতা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এই প্রতিযোগিতা এখন যুক্তরাজ্যে এক গৌরবময় প্রবাসী উৎসব হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।