বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন

img

লন্ডনে হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন, বন্ধ হিথ্রো বিমানবন্দর

প্রকাশিত :  ০৫:২৫, ২১ মার্চ ২০২৫

লন্ডনে হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন, বন্ধ হিথ্রো বিমানবন্দর

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত নিকটবর্তী একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয় এবং এরই জেরে শুক্রবার (২১ মার্চ) সারাদিনের জন্য বিমানবন্দরটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ফলে হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং অনেককেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মূলত অতীতে “লন্ডন বিমানবন্দর” নামে পরিচিত এই স্থপনাটি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর।

বিবিসি বলছে, হিথ্রো বিমানবন্দর শুক্রবার সারাদিন বন্ধ থাকবে। কারণ নিকটবর্তী একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে বড় ধরনের আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ওই সাবস্টেশন থেকেই হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগুনের কারণে বিমানবন্দরে “উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট” দেখা দিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, “আমাদের যাত্রী এবং সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য হিথ্রো বিমানবন্দর ২১ মার্চ রাত ৯:৫৯ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং আরও তথ্যের জন্য তাদের বিমান সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা করতেও বলা হচ্ছে। অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”

হিথ্রো বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “যদিও অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুন লাগার ওই ঘটনায় তাদের কাজ করছেন, কিন্তু তারপরও আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় যে— ঠিক কখন বিদ্যুৎ নির্ভরযোগ্যভাবে পুনরায় চালু করা যাবে। কর্মীরা পরিস্থিতি সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।”

বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের “কোনও অবস্থাতেই” এখানে (বিমানবন্দরে) আসা উচিত নয় বলেও তারা বলেছেন।

এদিকে পশ্চিম লন্ডনের হেইসের ওই সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ফলে হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং আশপাশের বাড়ি থেকে প্রায় ১৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড (এলএফবি) জানিয়েছে, আগুন নেভানোর জন্য দশটি দমকল ইঞ্জিন এবং প্রায় ৭০ জন দমকলকর্মী পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হিথ্রো যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর। প্রতিদিন এই বিমানবন্দরে প্রায় ১৩০০টি ফ্লাইট অবতরণ এবং টেক-অফ করে। গত বছর রেকর্ড ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙ্গলেন বৃটিশ পর্বতারোহী

প্রকাশিত :  ১২:১৬, ১৯ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫২, ১৯ মে ২০২৫

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে ১৯তমবারের মতো আরোহণ করে নিজের গড়া রেকর্ড ভাঙলেন ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুল। নেপালিদের বাইরে এভারেস্টজয়ীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশিবার এই শৃঙ্গ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলেন।

এই বসন্ত মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া ও অপেক্ষাকৃত শান্ত বাতাসের সুযোগে এ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি পর্বতারোহী এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন। কিন্তু ৫১ বছর বয়সী পর্বতারোহী কুল ২০০৪ সালে প্রথমবার এভারেস্টে আরোহণ করেন এবং এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই শৃঙ্গে ওঠার অভিযান চালিয়ে আসছেন।

নেপালের স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ১১টায় তিনি চূড়ায় পৌঁছন বলে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানানো হয়।

২০২১ সালে ১৫তম আরোহণে তিনি আমেরিকান ডেভ হানের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয় করা নেপালি নন, এমন পর্বতারোহীর তালিকায় উঠে আসেন। পরের বছর ১৬তম আরোহণে এককভাবে এই শিরোপা নিজের করে নেন।

১৯৯৬ সালে এক রক ক্লাইম্বিং দুর্ঘটনায় দুই পায়ের গোড়ালির হাড় ভেঙে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা কুলকে জানিয়েছিলেন, তিনি আর কোনো দিন নিজের পায়ে হেঁটে চলতে পারবেন না।

২০২২ সালে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তার এই রেকর্ড ততটা বিস্ময়কর নয়, কারণ অনেক নেপালি শেরপাই তার চেয়ে অনেক বেশিবার এভারেস্ট জয় করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শেরপারা এতবার উঠেছেন যে আমি নিজেই অবাক হই, মানুষ আমার বিষয়ে এত আগ্রহ দেখায় কেন।’

অন্যদিকে ৫৫ বছর বয়সী নেপালি পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপা এবার তার ৩১তম এভারেস্ট আরোহণের মাধ্যমে নিজের বিশ্বরেকর্ড ভাঙার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কুলের সর্বশেষ এভারেস্ট জয়ের এই খবরে আসে এমন এক সপ্তাহে, যখন এ পর্বতে এক ফিলিপিনো ও এক ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে।

এ মৌসুমে নেপালি কর্তৃপক্ষ ৪৫৮টি আরোহণ অনুমতিপত্র ইস্যু করেছে। এর ফলে এভারেস্টের পাদদেশে বিদেশি পর্বতারোহী ও তাদের সহায়তাকারীদের জন্য তাঁবু শহর গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ পর্বতারোহীই নেপালি গাইডদের সহায়তায় পর্বতারোহণ করেন, ফলে এ মৌসুমে ৯ শতাধিক মানুষ এভারেস্ট চূড়ার পথে পা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে আটটিই নেপালে অবস্থিত, ফলে প্রতি বসন্তেই শত শত অভিযাত্রী দেশটিতে যান। ১৯৫৩ সালে এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে শেরপার প্রথম সফল আরোহণের পর থেকে নেপালে পর্বতারোহণ এক লাভজনক বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে।

গত বছর আট শতাধিক অভিযাত্রী এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছন, যার মধ্যে ৭৪ জন উত্তরে তিব্বতের দিক থেকে অভিযান পরিচালনা করেন।


 


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর