img

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তিন বিজ্ঞানী

প্রকাশিত :  ১১:৩০, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তিন বিজ্ঞানী

২০২৫ সালের জন্য ফিজিওলজি বা মেডিসিনে যৌথভাবে তিনজনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন– মেরি ই ব্রুনকো, ফ্রেড র‍্যামসডেল এবং শিমন সাকাগুচিকে।

নোবেল জুরি জানিয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা নিয়ে গবেষণার জন্য চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে সুইডেনের স্টকহোমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এদের মধ্যে মেরি ই ব্রুনকো ও ফ্রেড র‍্যামসডেল যুক্তরাষ্ট্রের এবং শিমন সাকাগুচি জাপানের নাগরিক। 

আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের আবিষ্কার ক্যান্সার এবং অটোইমিউনের মতো রোগের গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং নতুন চিকিৎসার বিকাশকে উৎসাহিত করেছে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার স্টকহোমের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার দিয়ে এবারের নোবেল ঘোষণা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঘোষণা হবে পদার্থবিদ্যা, বুধবার (৮ অক্টোবর) রসায়ন, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সাহিত্য এবং শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম। আর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ১৩ অক্টোবর।

নোবেলের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হবে ১০ ডিসেম্বর। এদিন আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী। বিজয়ীরা পাবেন ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডলার সমমূল্য), সঙ্গে থাকবে ১৮ ক্যারেটের সোনার পদক ও একটি সম্মাননাপত্র। 


img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর