img

পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদের সন্ধান নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

প্রকাশিত :  ১৫:৪২, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৪৩, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদের সন্ধান নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

কোনো সায়েন্স ফিকশন অথবা সিনেমার গল্প নয়, বাস্তবেই নিজের জন্য নতুন চাঁদ খুঁজে পেয়েছে পৃথিবী। মহাকাশ পর্যবেক্ষকদের দাবি, চাঁদের পাশাপাশি আরেকটি ছোট চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি ঘুরতে দেখা গেছে। তাদের এমন দাবিই জ্যোতির্বিজ্ঞানীসহ সবার মনোযোগ আকৃষ্ট করেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কাছাকাছি একটি ছোট গ্রহাণু, ২০২৫ পিএন৭ শনাক্ত করেছেন। এটি এখন পৃথিবীর একটি ‘কোয়াসি স্যাটেলাইট’ বা ‘আধা-উপগ্রহ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা একটি বিরল ধরনের বস্তু। ২০২৫ পিএন৭ খুবই ছোট। গবেষকদের অনুমান অনুযায়ী, এর আকার প্রায় ১৮ থেকে ৩৬ মিটার, যা একটি সাধারণ ভবনের উচ্চতার সমান।

চলতি বছরের আগস্টে একটি জরিপে এই ছোট চাঁদটি প্রথম পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই ধরনের বস্তুগুলো কক্ষপথের কাছেই থাকে। তবে এগুলো মহাকর্ষের মাধ্যমে পুরোপুরি গ্রহের সঙ্গে আবদ্ধ নয়। এর মানে দাঁড়ায়, অন্তত ২১ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমাদের গ্রহের জন্য আসলে একটি দ্বিতীয় চাঁদ রয়েছে। নাসা নিশ্চিত করেছে যে, এই অর্ধ-উপগ্রহটি পৃথিবীর চারপাশে একটি পথ অনুসরণ করছে এবং সম্ভবত ২০৮৩ সাল পর্যন্ত এটি থাকবে।

আর্কাইভাল ছবি দেখে বোঝা যায়, ‘২০২৫ পিএন৭’ সম্ভবত ১৯৬০ সাল থেকে কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর সঙ্গে ভ্রমণ করছে। তবে এটি আসল চাঁদের মতো সরাসরি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না। পরিবর্তে, ২০২৫ পিএন৭ পৃথিবীকে অনুসরণ করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।

২০৮৩ সাল পর্যন্ত আমাদের গ্রহের সঙ্গে তার সহ-কক্ষপথের যাত্রা চালিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে এটি কয়েক দশকের জন্য পৃথিবীর অস্থায়ী সাহচর্য লাভ করবে। এরপর, মহাকর্ষ সম্ভবত এটিকে তার বর্তমান পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৫ পিএন৭ পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয়। এটি খুব ছোট এবং তার কক্ষপথও স্থিতিশীল। তবু এই উপগ্রহটি বৈজ্ঞানিকভাবে খুবই আকর্ষণীয়, কারণ এটি আমাদের চাঁদ এবং পৃথিবীর কক্ষপথ সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে পারে।

২০২৫পিএন৭ কে ‘দ্বিতীয় চাঁদ’ বলা হলেও এটা মোটেই পূর্ণাঙ্গ চাঁদের মতো নয়। কারণ এটি সরাসরি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না।


img

আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম

প্রকাশিত :  ০৫:৫৩, ০১ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৫

কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে আজ (১ নভেম্বর) থেকে  ১০টির বেশি সক্রিয় সিম রাখা যাবে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটররা আজ থেকেই অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করছে।

এর আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন একজন ব্যবহারকারী সব অপারেটর মিলিয়ে সর্বাধিক ১০টি সিম রাখতে পারবেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, ‘শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় না থাকে।’

বিটিআরসি সূত্র বলছে, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো ও বিভিন্ন প্রতারণা রোধ করতেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনে অথবা *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন।

সিম বন্ধের প্রক্রিয়ায় ‘দৈবচয়ন’ নীতি অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘দৈবচয়ন অর্থাৎ র‌্যান্ডম সিলেকশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলো বাছাই করা হবে। এতে কোনো মানবিক সিদ্ধান্ত বা প্রভাবের সুযোগ থাকবে না। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকে, তবে অতিরিক্ত সিমগুলোর মধ্যে কোনগুলো নিষ্ক্রিয় হবে তা কম্পিউটারই এলোমেলোভাবে নির্ধারণ করবে।’

বিটিআরসি জানিয়েছে, আগামী মাসগুলোতে সিম ও মোবাইল ডিভাইস একত্রে ট্র্যাকিংয়ের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে, যাতে অবৈধ বা নিবন্ধনবিহীন সিম ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ। অথচ প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, ৬ থেকে ১০টি সিম আছে প্রায় ১৬ শতাংশের, আর ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর