img

তৃতীয় দিনের মতো চলছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

প্রকাশিত :  ০৮:১২, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

তৃতীয় দিনের মতো চলছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য দেশের সব এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো চলছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বিভিন্ন স্কুলে শিশুরা এই প্রতিষেধক গ্রহণ করছে।

মাসব্যাপী এই কর্মসূচির আওতায় সরকার প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোরকে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করছে। নিবন্ধন অনলাইনে বা জন্মসনদ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও করা যাবে। ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিকটস্থ স্কুলে এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা দেওয়া হবে।

টিকা নেওয়ার জন্য অভিভাবকরা https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের পর জন্মসনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই বা জন্মনিবন্ধন হয়নি, তাদের জন্যও নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় নিবন্ধন করা যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সব শিশুকে টিকার আওতায় আনা এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এ টিকাটি সরবরাহ করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং তা আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহায়তায় সরকারের হাতে এসেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি সংক্রমণ, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে থাকে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ক্ষুধামান্দ্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ অস্পষ্ট থাকায় অনেক সময় টাইফয়েড শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

দ্য গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার রোগী আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মৃত্যু হয় ৮ হাজার। যার ৬৮ শতাংশই শিশু। শিশুদের মধ্যে টাইফয়েড আক্রান্তের হার বেশি।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর

img

প্রথমবার একযোগে তিন দেশে এইচআইভির টিকাদান শুরু

প্রকাশিত :  ০৬:৫৭, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রথমবারের মতো আফ্রিকার তিন দেশ ইসওয়াতিনি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জাম্বিয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধে নতুন ইনজেকশন ‘লেনাকাপাভির’ প্রয়োগ শুরু করেছে। মহাদেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ থাকায় এই উদ্যোগকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বছরে মাত্র দুবার নেওয়া এই ইনজেকশন সংক্রমণের ঝুঁকি ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কার্যত একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক টিকার মতো কাজ করবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের একজন এইচআইভিতে আক্রান্ত। সেখানে উইটস ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা দল পুরো কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করছে। এই প্রকল্পটি জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা ইউনিটেইডের অর্থায়নে চলছে।

ইউনিটেইড জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণই প্রথম নিয়মিত প্রতিরোধের অংশ হিসেবে লেনাকাপাভির ব্যবহার শুরু করেছেন। তবে কতজন প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধের এক বছরের খরচ প্রায় ২৮ হাজার ডলার, যা অধিকাংশের নাগালের বাইরে।

জাম্বিয়া ও ইসওয়াতিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ১ হাজার ডোজ পেয়েছে। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে এ ইনজেকশন সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে।

এদিকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস আগামী তিন বছরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ২০ লাখ মানুষকে লেনাকাপাভির বিনালাভে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক দাতাদের দেওয়া ডোজ এখনো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম, আর ওষুধের দামও অত্যন্ত বেশি। সূত্র : এনডিটিভি