img

খেলাপি ঋণ অবলোপনে 'সময়সীমার বাধা' তুলে নতুন নির্দেশনা জারি

প্রকাশিত :  ০৮:২৪, ২০ নভেম্বর ২০২৫

খেলাপি ঋণ অবলোপনে 'সময়সীমার বাধা' তুলে নতুন নির্দেশনা জারি

বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ অবলোপনে থাকা সময়সীমার বাধা তুলে দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এখন থেকে কোনো ঋণ মন্দ বা ক্ষতিজনক হিসেবে শ্রেণিকৃত হলে এবং তা আদায় হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে—সময়সীমা অপেক্ষা না করে অবলোপন করা যাবে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এর আগে গত ১৯ অক্টোবরের সার্কুলারে নোটিশ দেওয়ার সময়সীমা ছিল ৩০ দিন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, “৩০ দিনের সময়সীমায় একটি মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সময় লাগে। প্রক্রিয়া দ্রুত করার লক্ষ্যেই সময় কমানো হয়েছে।”

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দিতে পারবে। কোনো ব্যাংকের এ ধরনের নীতিমালা না থাকলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তা প্রণয়ন করতে হবে।

কোনো গ্রাহকের ঋণ একাধারে মন্দ এবং ক্ষতিজনক শ্রেণিতে থাকলে তা অবলোপন করা যাবে। তবে অধিক পুরনো ঋণগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাইট-অফ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, রাইট-অফ করার পরও ঋণগ্রহীতা যতদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ দেনা পরিশোধ না করবে, ততদিন তিনি খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবেই বিবেচিত হবেন। সেজন্য অবলোপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গ্রাহককে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ৬২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

ক্লাসিফায়েড লোন রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.২০ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩.৪২ লাখ কোটি টাকা মন্দ ও ক্ষতিজনক মানের ঋণ, যা মোট খেলাপির ৮১.৩৭ শতাংশ।

অর্থাৎ, বর্তমানে ব্যাংক খাতে যেসব মন্দ শ্রেণির ঋণ রয়েছে, সেগুলো প্রয়োজনে ব্যাংকগুলো অবলোপন করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ঋণ অবলোপন করতে হলে তার বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। কোনো ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রভিশন ঘাটতি থাকলে চলতি বছরের আয় হিসাব (ইনকাম অ্যাকাউন্ট) থেকে সমন্বয় করে প্রভিশন তৈরি করতে হবে।


অর্থনীতি এর আরও খবর

img

অনুমতি ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি, কোম্পানিগুলোকে তলব

প্রকাশিত :  ০৭:১৭, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পর তেল আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তলব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলেও তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবুও তারা বাজারে লিটারপ্রতি ৯ টাকা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় দেশীয় বাজারেও সমন্বয় আনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দাম বৃদ্ধির আবেদন থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

উপদেষ্টা আরও বলেন, \'তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। সামগ্রিক একত্রিতভাবে করা এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।\'

এর আগে গত অক্টোবরেও একইভাবে সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। তখন সরকার জানায়, এভাবে মূল্য বাড়ানোর সুযোগ নেই। পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে প্রতিষ্ঠানগুলো।

অর্থনীতি এর আরও খবর