img

ভারতের ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করল পাকিস্তান

প্রকাশিত :  ০৮:০৪, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করল পাকিস্তান

বিজেপি শাসিত ভারতে বাড়তে থাকা ইসলামোফোবিয়া ও ঐতিহ্য ধ্বংসের বিষয়ে বিশ্বকে সতর্ক করল পাকিস্তান। একই সঙ্গে ভারতের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গায় নির্মিত রাম মন্দিরে পতাকা উত্তোলন নিয়ে পাকিস্তান গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছ। খবর- পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডন নিউজের।

বিবৃতিতে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির হুসেইন আন্দ্রাবি বলেন, এটি ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চাপ সৃষ্টির বিস্তৃত প্রবণতা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের প্রভাবে মুসলিম ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। তিনি বলেন, নানা ঐতিহাসিক মসজিদ এখন অপবিত্র করা বা ভেঙে ফেলার হুমকির মুখে রয়েছে। আর ভারতীয় মুসলিমরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রান্তিকায়নের শিকার হচ্ছেন।

মুখপাত্র আরও বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতের বাড়তে থাকা ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং ঘৃণাপ্রসূত হামলার বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানায়। 

জাতিসংঘ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী ঐতিহ্য সুরক্ষায় এবং সকল সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকারের নিরাপত্তায় তাদের গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ভারতের সরকারকে আহ্বান জানায় যে, তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতার আলোকে মুসলিমসহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তাদের উপাসনালয়গুলো রক্ষা করবে।

বাবরি মসজিদ শতাব্দী প্রাচীন উপাসনালয়। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর এই মসজিদ ধ্বংস করে উগ্রবাদী জনতা। ভারতের পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়ায় দায়ীদের খালাস দেওয়া হয়। ভাঙা মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। এই অবস্থান ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের পরিচায়ক বলে পাকিস্তান মন্তব্য করেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘পবিত্র অনুষ্ঠানে’ ওই ‘মন্দিরের’ শীর্ষে একটি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেছেন, যা এর নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার সংকেত বহন করে।


img

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর ফলে এই দেশগুলোর নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

ট্রাম্প বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত জুনে এসব দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার তা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় রূপ নিল।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনাকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে মার্কিন সরকার। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আফগান শরণার্থী। এতে একজন সেনা নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। এর পরই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

যে ১৯ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা : আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

হামলার ঘটনার পর গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। বিশেষ করে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন তিনি। তাদের ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকেও একইভাবে অপমানজনক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।