img

নেপালের মানচিত্রে ভারতের তিন অঞ্চল, প্রতিবাদ জানালো নয়াদিল্লি

প্রকাশিত :  ০৫:৩৫, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

নেপালের মানচিত্রে ভারতের তিন অঞ্চল, প্রতিবাদ জানালো নয়াদিল্লি

ভারতের কয়েকটি অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করায় নয়াদিল্লি–কাঠমান্ডু সম্পর্ক আবারও উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে নেপাল নতুন ১০০ রুপির নোট প্রকাশ করেছে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর)। এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে গত ছয় দশক ধরে দ্বন্দ্ব জড়িয়ে আছে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন। রাজ্যটিকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। চলমান এ উত্তেজনার মধ্যে এবার নিজেদের মানচিত্রে ভারতের কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে নেপাল।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই তিন অঞ্চল ভারতেরই অংশ। নেপালের এমন একতরফা ও ‘ঐতিহাসিক সত্যবিচ্যুত’ পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে নয়াদিল্লি। তবে বিরোধীদল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, এ বিষয়ে সরকার যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নেয়নি।

দুই দেশের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত–চীনের মতোই দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এরই মধ্যে নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত নতুন নোটে বিতর্কিত সংশোধিত মানচিত্র যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে।

নতুন নোটে নেপালের জাতীয় ফুল গুরাসের ওয়াটারমার্ক, লুম্বিনির অশোক স্তম্ভ এবং পেছনে একশৃঙ্গ গণ্ডারের ছবি স্থান পেয়েছে। এতে সাবেক গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারীর সই রয়েছে এবং ইস্যুর সাল হিসেবে উল্লেখ আছে ২০২৪।

ভারতের সঙ্গে অঞ্চল নিয়ে নেপালের বিরোধ নতুন নয়। ২০২০ সালে প্রথম এই মানচিত্র প্রকাশের পর দেশটির পার্লামেন্ট তা অনুমোদন দেয়। সে সময়ও ভারত নেপালের দাবি ‘একতরফা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।


img

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর ফলে এই দেশগুলোর নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

ট্রাম্প বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত জুনে এসব দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার তা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় রূপ নিল।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনাকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে মার্কিন সরকার। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আফগান শরণার্থী। এতে একজন সেনা নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। এর পরই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

যে ১৯ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা : আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

হামলার ঘটনার পর গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। বিশেষ করে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন তিনি। তাদের ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকেও একইভাবে অপমানজনক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।