রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা

img

ইমরান খানের খোঁজ না মেলায় পাকিস্তানজুড়ে উত্তেজনা

প্রকাশিত :  ০৫:০১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২২, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

ইমরান খানের খোঁজ না মেলায় পাকিস্তানজুড়ে উত্তেজনা

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মারা গেছেন— এমন গুঞ্জনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। গুঞ্জন দিন দিন তীব্র হলেও তার কোনো খোঁজ দিচ্ছে না দেশটির বর্তমান সরকার ও রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পরিবারের কোনো সদস্যও তার সঙ্গে দীর্ঘদিন দেখা করতে পারেন নি। 

এমন পরিস্থিতিতে ইমরানের খোঁজ দেওয়ার দাবিতে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) রাওয়ালপিন্ডিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। তাদের এ বিক্ষোভ ঠেকাতে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার হাসান ওয়াকার চীমা ঘোষণা দিয়েছেন, ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এর আওতায়—

  ১, যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, জমায়েত, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ, জনসভা এবং পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অনুরূপ যেকোনো সমাগম নিষিদ্ধ থাকবে।

  ২, অস্ত্র, শূল, ভারযুক্ত লাঠি, গুলতি, বল-বেয়ারিং, পেট্রোল বোমা, হাতে তৈরি বিস্ফোরক বা সহিংসতায় ব্যবহার হতে পারে এমন যেকোনো সরঞ্জাম বহন করা যাবে না।

  ৩. অস্ত্র প্রদর্শন (আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বহন করা অস্ত্র ছাড়া) এবং আপত্তিকর বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

  ৪. মানুষের সমাগম বা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের আরোপ করা যেকোনো নিষেধাজ্ঞা অপসারণের চেষ্টা করা যাবে না।

  ৫. মোটরসাইকেলের পেছনে কোনো আরোহীকে নেওয়া যাবে না।

  ৬. মাইক্রোফোন বা লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।

সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর ফলে এই দেশগুলোর নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

ট্রাম্প বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত জুনে এসব দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার তা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় রূপ নিল।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনাকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে মার্কিন সরকার। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আফগান শরণার্থী। এতে একজন সেনা নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। এর পরই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

যে ১৯ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা : আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

হামলার ঘটনার পর গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। বিশেষ করে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন তিনি। তাদের ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকেও একইভাবে অপমানজনক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।