img

বাইডেনের অটোপেনে স্বাক্ষরিত সব আদেশ বাতিল: ট্রাম্প

প্রকাশিত :  ০৫:৪২, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

বাইডেনের অটোপেনে স্বাক্ষরিত সব আদেশ বাতিল: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে অটোপেন ব্যবহার করে স্বাক্ষর করা সব নথি বাতিল ঘোষণা করেছেন।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, বাইডেন নিজে সই না করে অটোপেনের মাধ্যমে যেসব নির্বাহী আদেশ ও অন্যান্য সরকারি নথি অনুমোদন করেছিলেন, সেগুলো আইনগতভাবে অবৈধ। এখন থেকে তা অকার্যকর। তিনি আরও বলেন, অটোপেন পরিচালনাকারীরা অবৈধভাবে কাজ করেছে।

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘অটোপেন ব্যবহারের মাধ্যমে বাইডেনের স্বাক্ষরিত যেকোনো নথি এতদ্বারা বাতিল করা হলো। এসব নথির আর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘অটোপেন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্তরা অবৈধভাবে এসব নথি প্রস্তুত করেছেন এবং বাইডেন নিজে প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জো বাইডেন যদি দাবি করেন যে তিনি এতে যুক্ত ছিলেন, তবে তাকে মিথ্যা শপথের অভিযোগে আদালতে হাজির করা হবে।’

আমেরিকান প্রেসিডেন্সি প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি হিসেবে জো বাইডেন মোট ১৬২টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে এর কতগুলো অটোপেন ব্যবহার করে স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা পরিষ্কার নয়। প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের পর আগের প্রশাসনের নির্বাহী আদেশ বাতিল করা যুক্তরাষ্ট্রে অস্বাভাবিক নয়।

হোয়াইট হাউস বলছে, দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ইতিমধ্যে বাইডেনের প্রায় ৭০টি আদেশ ২০ জানুয়ারি এবং আরও ১৯টি আদেশ ১৪ মার্চ বাতিল করেছেন।

এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, বাইডেন প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে অটোপেন ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতির নথিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা তিনি ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে আখ্যা দেন। তবে গত জুলাইয়ে জো বাইডেন এ অভিযোগকে ‘নিরর্থক ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিয়েছেন।

হাউস রিপাবলিকানদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বাইডেনের অটোপেন ব্যবহারের সমালোচনা করা হলেও কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিরা বহু বছর ধরেই অটোপেন ব্যবহার করে আসছেন। ২০০৫ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের বিচার বিভাগ বলেছিল, রাষ্ট্রপতির পক্ষে বিল স্বাক্ষরে অটোপেন ব্যবহার করা আইনসম্মত।

উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি বছরের মার্চে নিজেও স্বীকার করেছেন ট্রাম্প তিনি ‘অতি তুচ্ছ কাগজপত্র’ স্বাক্ষরে অটোপেন ব্যবহার করেছেন।

উল্লেখ্য, অটোপেন হলো একটি রোবোটিক ডিভাইস, যা একটি যান্ত্রিক বাহু ব্যবহার করে আসল কলম দিয়ে একটি ব্যক্তির স্বাক্ষর নকল করে। এটি হাতে লেখা অক্ষরের মতো দেখতে স্বাক্ষর তৈরি করে এবং বিশেষত চিঠিপত্র, বই বা অন্যান্য নথিতে হাজার হাজার স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর ফলে এই দেশগুলোর নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

ট্রাম্প বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত জুনে এসব দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার তা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় রূপ নিল।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনাকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে মার্কিন সরকার। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আফগান শরণার্থী। এতে একজন সেনা নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। এর পরই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

যে ১৯ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা : আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

হামলার ঘটনার পর গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। বিশেষ করে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন তিনি। তাদের ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকেও একইভাবে অপমানজনক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।