img

হংকংয়ে বহুতল ভবনে আগুনে নিহত বেড়ে ৫৫, নিখোঁজ ২৭৯ জন

প্রকাশিত :  ০৮:৪৩, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

হংকংয়ে বহুতল ভবনে আগুনে নিহত বেড়ে ৫৫, নিখোঁজ ২৭৯ জন

হংকংয়ের তাই পো ডিস্ট্রিক্টের সরকারি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ওয়াং ফুক কোর্ট নামে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে গত ১৮ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে এখন ৮০০ এর বেশি দমকল কর্মী কাজ করছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইপো ডিস্ট্রিক্টের এই ওয়াং ফুক কোর্ট একটি আবাসিক কমপ্লেক্স। আটটি টাওয়ার ব্লক নিয়ে এই কমপ্লেক্স। প্রতিটি ভবন ৩১ তলা উঁচু। 

২০২১ সালের সরকারি আদমশুমারি অনুযায়ী, এই আবাসিক কমপ্লেক্সে প্রায় চার হাজার ৬০০ মানুষের জন্য এক হাজার ৯৮৪ টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।  এখন পর্যন্ত ৫৫ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে এখনও ২৭৯ জনের খোঁজ মেলেনি। এ ছাড়া ভবন থেকে উদ্ধার করা ৪৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শোক প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান সিসিটিভি।

একটি নির্মাণ কোম্পানির তিন জন কর্মকর্তাকে এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন পরিচালক এবং একজন ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট। তাদের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এমন উপকরণ, যেমন বাঁশ, পলিস্টাইরিন ফোম ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। 

১৯৮৩ সালে নির্মিত এই টাওয়ার ব্লকগুলোতে সংস্কার কাজ চলছিলে। ভবনগুলো বাইরে থেকে বাঁশের আচ্ছাদন দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল।

গতকাল বুধবার হংকংয়ের স্থানীয় সময় দুপুর দুইটা ৫১ মিনিটে এই কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, বাঁশের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

হংকংয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে এই আগুনকে লেভেল ফাইভ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। সবশেষ ১৭ বছর আগে হংকংয়ে এমন ব্যাপক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাতভর জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত ছিল, সেসময় একজন শিশু ও একজন বয়ঃবৃদ্ধ নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নেভানোর সময় মারা যাওয়া ৩৭ বছর বয়সী একজন দমকল কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সরকার।

তাকে একজন \"নিবেদিত প্রাণ এবং সাহসী\" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সরকার।

স্থানীয় একজন কাউন্সিলর বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভবনের ভেতরে থাকা আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বাসিন্দারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চেয়েছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ওই স্থানের নিকটবর্তী স্কুলগুলোতে ক্লাশ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। হংকং শিক্ষা ব্যুরো জানিয়েছে, চলমান অগ্নি নির্বাপন কার্যক্রমের সময় যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আজ ১৩টি স্কুলে ক্লাশ বন্ধ থাকবে।

একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ সহায়তা করার জন্য নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানীদের পাঠানো হয়েছে।

আগুন লাগার কারণ নিয়ে এখনও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্থানে সংস্কার কাজ চলছে, সেখানে পলিস্টাইরিন বোর্ড পাওয়া গেছে। যেগুলো সাইটের জানালা বন্ধ করে রেখেছিল, সম্ভবত সে কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।


img

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর ফলে এই দেশগুলোর নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

ট্রাম্প বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত জুনে এসব দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার তা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় রূপ নিল।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনাকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে মার্কিন সরকার। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আফগান শরণার্থী। এতে একজন সেনা নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। এর পরই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

যে ১৯ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা : আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

হামলার ঘটনার পর গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। বিশেষ করে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন তিনি। তাদের ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকেও একইভাবে অপমানজনক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।