img

শ্রীমঙ্গলে পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনটি অজগর সাপ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ০৬:০৮, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনটি অজগর সাপ উদ্ধার

সংগ্রাম দত্ত: বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছবপুর ও নোয়াগাঁও গ্রাম থেকে তিনটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ৩ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মৌলভীবাজার রোডের ইছবপুর এলাকায় ঝোপ ঝাড় পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ দেওয়াল এর উপর একটি সাপ দেখে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি অনিক দেব নামক একজন ব্যক্তিকে জানালে তিনি বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে ফোনে অবগত করলে পেয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্বপন দেব সজল ও পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে অজগর উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অজগর সাপটিকে শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়া গত ২৪ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে একই গ্রাম থেকে প্রায় ২০ কেজি ও ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে।

এর আগের দিন রোববার (২৩ নভেম্বর) ইছবপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী  নোয়াগাঁও গ্রাম থেকে অপর একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য যে, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় চারিদিকে বনাঞ্চল, হাওর, পাহাড়, চা বাগান দ্বারা পরিবেষ্টিত। পার্শ্ববর্তী একসময়ের ভানুগাছের পাহাড় যা\' বর্তমানে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হিসেবে দেশ বিদেশে সকলের কাছে পরিচিত সেখানে একশ্রেণীর সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী গুষ্টি কর্তৃক বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ একর ভূমি দখল করে বসতি স্থাপন, চা বাগান, আনারস, লেবু, কাঁঠাল, রিসোর্ট, হোটেল, হোটেলসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করায় বন্য পশু পাখির খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে তারা খাদ্যের সন্ধানে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের বাসা বাড়ি ও রাস্তাঘাটে চলে আসে। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিরল প্রজাতির বন্য পশুপাখি অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা পড়ে। অজগর সাপসহ বিভিন্ন ধরনের বিষধর সাপ ও অন্যান্য বন্য পশু-পাখি ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায় । বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গত এক যুগে প্রায় আটশোর মত বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি উদ্ধার করে স্থানীয় বন বিভাগের কাছে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করার জন্য হস্তান্তর করেছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে, বললেন হবিগঞ্জ-৪ এর জামায়াত প্রার্থী অলিউল্লাহ নোমান

প্রকাশিত :  ০৯:৫৭, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০২, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমানের পরিবর্তে খ্যাতিমান সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আসনটিতে। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) এ ঘোষণার পর থেকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে শুল্কমুক্ত গাড়ি, সরকারের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে প্লট দেওয়া হয় তা নেবেন না। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এমন ঘোষণা দেন।

সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান লিখেছেন, আল্লাহ সুযোগ দিলে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবো। সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং তারই ওপর আমাদের সকল ভরসা। নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী সবার দোয়া এবং সহযোগিতা চাই। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তিনি লিখেছেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, নতুন বাংলাদেশ গড়া এবং মাধবপুর-চুনারুঘাটের আধুনিকায়নই হবে আমার মূল লক্ষ্য। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে হবে আমার লড়াই। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।

বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি নিজ থেকেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শুরু করব, ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যদি কামিয়াব করেন, সংসদ সদস্যদের জন্য যে বৈষম্যমূলক বিশেষ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে, প্রথমেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাব। এর অংশ হিসেবে আমি নিজে আইনগতভাবে প্রাপ্য নিম্নোক্ত বৈষম্যমূলক বিশেষাধিকারগুলো পরিত্যাগ করব।

তিনি লিখেছেন, বর্তমানে প্রচলিত আইনে সংসদ সদস্যদের করমুক্ত গাড়ি কেনার যে বিশেষ সুবিধা রয়েছে, আমি তা নেব না। কারণ শুল্ক হচ্ছে রাষ্ট্রের পাওনা-অর্থাৎ, এটি ২০ কোটি মানুষের হক। প্রয়োজনে আমি এখন যেভাবে সাধারণ চলাফেরা করি-রিকশা, সিএনজিচালিত বেবি, অটোরিকশা-এসবই ব্যবহার করব।

জমি বরাদ্দের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, সাধারণ নাগরিক, যাদের অনেকেই ভূমিহীন, তাদের ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমি মনে করি, এটা ভূমিহীনদের সাথে উপহাস। তাদের ভোটে এমপি হয়, অথচ এমপি সাহেব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি পান। আমি ওয়াদা করছি, এরকম বৈষম্যমূলক জমি বরাদ্দ আমি চাইব না।

এর বাইরেও সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার জন্য যত বরাদ্দ থাকবে, সব প্রকাশ করা হবে। এগুলো একটি নোটিশবোর্ডে টাঙিয়ে রাখা হবে, যাতে সবাই জানতে পারেন কী বরাদ্দ এসেছে। এই বরাদ্দগুলো সবাইকে নিয়ে যথাযথ ব্যবহারের জন্য স্থানীয় পরামর্শ নেওয়া হবে। — Copied from www.khoborsangjog.com © 2025

সিলেটের খবর এর আরও খবর