img

শ্রীমঙ্গলে দেওয়ালের উপর থেকে ২০ কেজি ওজনের অজগর উদ্ধার

প্রকাশিত :  ০৬:৫৭, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে দেওয়ালের উপর থেকে ২০ কেজি ওজনের অজগর উদ্ধার

সংগ্রাম দত্ত: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইছবপুর এলাকা থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি বিরল প্রজাতির অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঝোপঝাড় পরিষ্কারের সময় শ্রমিকরা দেওয়ালের উপর সাপটিকে দেখতে পান। আকস্মিকভাবে বিশাল আকৃতির অজগর সামনে পড়ায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা দ্রুত কাজ বন্ধ করে দেন।

ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল রেসিডেন্সিয়াল মডেল গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অসিত পাল ও শিক্ষক অনিক দেব বিষয়টি বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে জানান। খবর পেয়ে ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল, পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেব দীপ এবং রিদন গৌড় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারীরা জানান, অজগরটির ওজন প্রায় ২০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট।

পরবর্তীতে উদ্ধার করা অজগরটিকে শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগের দিন রোববার (২৩ নভেম্বর) শ্রীমঙ্গলের নোয়াগাঁও গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকেও আরেকটি অজগর উদ্ধার করে একই ফাউন্ডেশন। দুটি অজগরই বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, পরে সেগুলোকে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল কুমার দেব সজল জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার চারপাশজুড়ে হাওর, চা-বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বনজ বৃক্ষ উজাড়, বসতি ও রিসোর্ট নির্মাণ, চা-বাগান সম্প্রসারণ এবং আনারস–লেবুর বাগান তৈরির ফলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। এতে খাদ্যের অভাবে অজগরসহ বিভিন্ন প্রাণী লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে প্রাণী আটকা পড়া, সড়কে চাপা পড়ে মারা যাওয়া কিংবা জনগণের আতঙ্কের সৃষ্টি—এ ধরনের ঘটনা বেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গত দেড় দশকে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় বন বিভাগ মিলে প্রায় ৮০০-র বেশি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে নিরাপদ আবাসস্থলে পুনর্বাসন করেছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে, বললেন হবিগঞ্জ-৪ এর জামায়াত প্রার্থী অলিউল্লাহ নোমান

প্রকাশিত :  ০৯:৫৭, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০২, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমানের পরিবর্তে খ্যাতিমান সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আসনটিতে। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) এ ঘোষণার পর থেকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে শুল্কমুক্ত গাড়ি, সরকারের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে প্লট দেওয়া হয় তা নেবেন না। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এমন ঘোষণা দেন।

সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান লিখেছেন, আল্লাহ সুযোগ দিলে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবো। সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং তারই ওপর আমাদের সকল ভরসা। নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী সবার দোয়া এবং সহযোগিতা চাই। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তিনি লিখেছেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, নতুন বাংলাদেশ গড়া এবং মাধবপুর-চুনারুঘাটের আধুনিকায়নই হবে আমার মূল লক্ষ্য। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে হবে আমার লড়াই। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।

বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি নিজ থেকেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শুরু করব, ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যদি কামিয়াব করেন, সংসদ সদস্যদের জন্য যে বৈষম্যমূলক বিশেষ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে, প্রথমেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাব। এর অংশ হিসেবে আমি নিজে আইনগতভাবে প্রাপ্য নিম্নোক্ত বৈষম্যমূলক বিশেষাধিকারগুলো পরিত্যাগ করব।

তিনি লিখেছেন, বর্তমানে প্রচলিত আইনে সংসদ সদস্যদের করমুক্ত গাড়ি কেনার যে বিশেষ সুবিধা রয়েছে, আমি তা নেব না। কারণ শুল্ক হচ্ছে রাষ্ট্রের পাওনা-অর্থাৎ, এটি ২০ কোটি মানুষের হক। প্রয়োজনে আমি এখন যেভাবে সাধারণ চলাফেরা করি-রিকশা, সিএনজিচালিত বেবি, অটোরিকশা-এসবই ব্যবহার করব।

জমি বরাদ্দের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, সাধারণ নাগরিক, যাদের অনেকেই ভূমিহীন, তাদের ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমি মনে করি, এটা ভূমিহীনদের সাথে উপহাস। তাদের ভোটে এমপি হয়, অথচ এমপি সাহেব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি পান। আমি ওয়াদা করছি, এরকম বৈষম্যমূলক জমি বরাদ্দ আমি চাইব না।

এর বাইরেও সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার জন্য যত বরাদ্দ থাকবে, সব প্রকাশ করা হবে। এগুলো একটি নোটিশবোর্ডে টাঙিয়ে রাখা হবে, যাতে সবাই জানতে পারেন কী বরাদ্দ এসেছে। এই বরাদ্দগুলো সবাইকে নিয়ে যথাযথ ব্যবহারের জন্য স্থানীয় পরামর্শ নেওয়া হবে। — Copied from www.khoborsangjog.com © 2025