আ. লীগের আমলে পাচার হওয়া অর্থ ফিরয়ে আনার সক্ষমতা ‘এনজিওওয়ালা’ সরকারের নেই: রেজা কিবরিয়া
প্রকাশিত :
১১:৩৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপিতে সদ্য যোগ দেয়া অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে পাচার হওয়া অর্থ ফিরয়ে আনতে বর্তমান এনজিও ওয়ালা সরকারের সক্ষমতা নেই। বিএনপি সরকার গঠন করলে আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও রেহেনা প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এছাড়াও আরও অনেকেই পাচার করেছেন।
বিদেশের মতো ট্রাস্ট গঠন করে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে এনে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যায় করা হবে বলে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার তার নিজ বাড়ি জালালসাপ গ্রামে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. রেজা বলেন, আমার বাবা সাবেক অর্থ মন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকারীদের গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন। সেটা থেকে সন্দেহ হয় তার আদেশেই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সন্দেহ পুষন করে কিবরিয়া বলেন, এই সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতা নেই। এই ভোটটাকে সুষ্ঠু করার যে দক্ষতা দরকার, ভোট বাক্স, কেন্দ্র ও ভালো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সক্ষমতা নেই।
দোয়া মাহফিলে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে, বললেন হবিগঞ্জ-৪ এর জামায়াত প্রার্থী অলিউল্লাহ নোমান
প্রকাশিত :
০৯:৫৭, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ১০:০২, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমানের পরিবর্তে খ্যাতিমান সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আসনটিতে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) এ ঘোষণার পর থেকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে শুল্কমুক্ত গাড়ি, সরকারের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে প্লট দেওয়া হয় তা নেবেন না।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এমন ঘোষণা দেন।
সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান লিখেছেন, আল্লাহ সুযোগ দিলে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবো। সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং তারই ওপর আমাদের সকল ভরসা। নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী সবার দোয়া এবং সহযোগিতা চাই। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
তিনি লিখেছেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, নতুন বাংলাদেশ গড়া এবং মাধবপুর-চুনারুঘাটের আধুনিকায়নই হবে আমার মূল লক্ষ্য। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে হবে আমার লড়াই। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।
বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি নিজ থেকেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শুরু করব, ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যদি কামিয়াব করেন, সংসদ সদস্যদের জন্য যে বৈষম্যমূলক বিশেষ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে, প্রথমেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাব। এর অংশ হিসেবে আমি নিজে আইনগতভাবে প্রাপ্য নিম্নোক্ত বৈষম্যমূলক বিশেষাধিকারগুলো পরিত্যাগ করব।
তিনি লিখেছেন, বর্তমানে প্রচলিত আইনে সংসদ সদস্যদের করমুক্ত গাড়ি কেনার যে বিশেষ সুবিধা রয়েছে, আমি তা নেব না। কারণ শুল্ক হচ্ছে রাষ্ট্রের পাওনা-অর্থাৎ, এটি ২০ কোটি মানুষের হক। প্রয়োজনে আমি এখন যেভাবে সাধারণ চলাফেরা করি-রিকশা, সিএনজিচালিত বেবি, অটোরিকশা-এসবই ব্যবহার করব।
জমি বরাদ্দের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, সাধারণ নাগরিক, যাদের অনেকেই ভূমিহীন, তাদের ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমি মনে করি, এটা ভূমিহীনদের সাথে উপহাস। তাদের ভোটে এমপি হয়, অথচ এমপি সাহেব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি পান। আমি ওয়াদা করছি, এরকম বৈষম্যমূলক জমি বরাদ্দ আমি চাইব না।