img

যুদ্ধবিরতির মাঝেও ইসরাইলি হামলা, গাজায় নিহত ছাড়াল ৭০ হাজার

প্রকাশিত :  ০৫:১০, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির মাঝেও ইসরাইলি হামলা, গাজায় নিহত ছাড়াল ৭০ হাজার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরাইল। প্রতিদিনিই বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে হতাহত হচ্ছেন বহু ফিলিস্তিনি। এর ফলে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত  গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৭০ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছেন বলে শনিবার উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বর্বর এই আগ্রাসনে আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ। গাজায় প্রাণহানির মর্মান্তিক এই মাইলফলক এমন এক সময়ে পার হলো যখন গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হওয়া সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। 

এদিকে শনিবার সকালে খান ইউনিসের পূর্বদিকে বানী সুফাইলা শহরে ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীরা।

আল জাজিরাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল-ফারাবি স্কুলের কাছে কয়েকজন সাধারণ মানুষের ওপর ড্রোন থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে জুমা এবং ফাদি তামের আবু আসি নামের দুই ভাই নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের খান ইউনিসের নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা পরে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মূলত শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে স্থল, নৌ ও বিমান— তিন দিক থেকেই নতুন করে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। চিকিৎসা সূত্র জানায়, খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আল-কারারা এলাকায় ইসরাইলি গোলাবর্ষণ ও বোমাবর্ষণে কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় তুফফাহ এলাকায়ও শনিবার সকালে ইসরাইলি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহর পূর্ব দিকেও হামলা হয়। এর আগের দিন নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্স জানায়, বানী সুফাইলায় ইয়েলো লাইনের বাইরে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা শুক্রবার জানান, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরাইল তা ৫৩৫ বার লঙ্ঘন করেছে।


img

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১৫, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর ফলে এই দেশগুলোর নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

ট্রাম্প বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত জুনে এসব দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এবার তা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় রূপ নিল।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনাকে মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছে মার্কিন সরকার। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আফগান শরণার্থী। এতে একজন সেনা নিহত হন এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। এর পরই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

যে ১৯ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা : আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

হামলার ঘটনার পর গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। বিশেষ করে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন তিনি। তাদের ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেন। এমনকি সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকেও একইভাবে অপমানজনক মন্তব্য করেন ট্রাম্প।