img

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঁকা টিপ পরে জয়ার প্রতিবাদ

প্রকাশিত :  ০৫:৪৭, ০৯ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫০, ০৯ মার্চ ২০২৪

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঁকা টিপ পরে জয়ার প্রতিবাদ

বাঙালি নারীদের রূপসজ্জার অন্যতম অঙ্গ টিপ। দুই ভ্রুর মাঝখানে কিংবা খানিকটা ওপরে টিপ পরার রেওয়াজ রয়েছে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান এই টিপ। যে-কোনো ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে নারীরা টিপ পরেন কপালে। আঠা দিয়ে আটকে যায়, এমন টিপ পরেন। আবিরের টিপ পরেন। সিঁদুরের টিপ পরেন। চন্দন, অন্যান্য রং… আরও কত রকম উপায়ে তৈরি টিপ পরেন তারা। কেবল গোল করে নয়, লম্বা, তিন কোণা, অর্ধেক চাঁদ, নানা নকশার টিপ পরেন। কিন্তু সেই টিপই যদি দুই ভ্রুর মাঝখানে কপালে না পরে কেউ যদি ভ্রুর ওপরে কিংবা কপালের অন্যত্র পরেন, খুবই বেমানান বলে মনে হতে পারে। তেমনটাই করেছেন জয়া এবং তার মতো অনেকেই। কিন্তু কেন? এই প্রতিবাদ কীসের জন্য? 

এই প্রতিবাদ আসলে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। কপালে বাঁকা টিপ পরে নিস্তব্ধ বিপ্লবের অংশ হতে চেয়েছেন এই খ্যাতনামীরা। তৈরি করেছেন আন্দোলনের নিজস্ব ভাষা। তাতে যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররাও। মূলত বাংলাদেশের অভিনেত্রী এবং ইনফ্লুয়েন্সারদেরই বাঁকা টিপ পরে ছবি পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে। 

জয়া লাল রঙের একটি টিপ বাঁকাভাবে পরে সেলফি পোস্ট করেছেন তার সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। তাতে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “কপালে টিপ দিয়ে আমরা নারীরা নিজেদের শোভন করে তুলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের টিপ পরা হাসি-হাসি মুখের ছবিতে লাইক পড়তে থাকে। কিন্তু ঘরের ভেতরেও কি আমাদের সবার ছবিটা একই রকম? দেশে প্রতি তিনজন নারীর একজন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। রক্তে মেখে যাচ্ছে তাদের শোভন সৌন্দর্য। স্খলিত হয়ে পড়ছে টিপ। মানুষ হিসেবে তাদের মর্যাদা খসে পড়ছে। আসুন, আমরা নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করি। কপালের টিপ সরিয়ে পরে সেলফি তুলি, আর #OddDotSelfie লিখে শেয়ার করি সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেয়েরা বাঁচুক মানুষের পূর্ণ মর্যাদায়।” 

যদিও জয়া এই প্রতিবাদ করেও কটাক্ষের শিকারই হয়েছে। নেটিজ়নদের একটা বড় অংশ কমেন্ট করে লিখেছেন, “কত পুরুষ যে ঘরে নির্যাতিত হয় বউদের হাতে, সে খবর রাখেন?” জয়াকে কদর্যভাষায় আক্রমণও করা হয়েছে।

অন্যদিকে এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার নাজিবা নওশিন লিখেছেন, “আমরা নারীরা মন ভালো থাকলে টিপ পরি। এটি আমাদের কালচার। কপালের সেই টিপ সরিয়ে দিয়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা এবার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং সমাজকর্মী সারা জাকের লিখেছেন, “দেশের নারীরা প্রতিদিন ঘরে বাইরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কোনো প্রতিবাদই হচ্ছে না সেই অর্থে। মিলিতভাবে সোচ্চার হওয়া খুব প্রয়োজন।”

img

কীভাবে জনপ্রিয় হলেন হানিয়া আমির

প্রকাশিত :  ১২:১৩, ২০ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫০, ২০ অক্টোবর ২০২৫

নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন পাকিস্তানি জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। তার চোখের চাহনি, প্রাণবন্ত হাসি আর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলেছেন তিনি। অভিনেত্রী খুব অল্প সময়েই সবচেয়ে প্রিয় মুখগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছেন। হানিয়ার অভিনয়ে আছে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, বাস্তবতার ছোঁয়া আর আবেগের গভীরতা। তার প্রতিটি সাহসী নারী চরিত্র যেন জীবনের গল্প বলে, তাই দর্শকও তাকে খুঁজে পায় নিজেদের মধ্যে।

হানিয়া আমিরের কিছু নাটক হয়ে উঠেছে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানোর একটি অধ্যায়। যে নাটকগুলো শুধু জনপ্রিয়তাই এনে দেয়নি, বরং প্রতিষ্ঠিত করেছে তাকে এক অনন্য অভিনেত্রী হিসেবে। হানিয়া আমিরের জনপ্রিয়তা শুধু তার সৌন্দর্যে সীমাব্ধ থাকেনি; বরং প্রতিটি চরিত্রে প্রাণ ঢেলে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। কখনো ভালোবাসায় ভরা মেয়ে, কখনো বঞ্চিত নারী, আবার কখনো প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর— সব ভূমিকাতেই নিজের অভিনয়কে ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপন করেন তিনি। তার নাটকগুলো প্রমাণ করে, হানিয়া আমির শুধু এক উদীয়মান অভিনেত্রী নন, বরং টেলিভিশনের ভুবনে একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। সেই স্মরণীয় নাটকগুলো নিয়েই আজকের কথামালা।

ইশকিয়া

হানিয়া আমির এখানে রুমি চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে পরিবার, প্রেম আর বিশ্বাসঘাতকতার টানাপোড়েনে পড়ে যায়। ফারহান সাঈদ ও ফিরোজ খানের সঙ্গে অভিনয়ে তার রসায়ন নাটকটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। প্রেম, ঈর্ষা আর প্রতিশোধের মিশ্রণে তৈরি নাটকটি ছিল টিআরপি তালিকার শীর্ষে।

ভিসাল

এই নাটকে হানিয়া আমির ছিলেন পারি চরিত্রে, যে সরল-সাদামাটা স্বভাবের হলেও ভাগ্যের খেলায় জড়িয়ে পড়ে এক জটিল সম্পর্কে। হাসান খান ও সাবা হামিদের সঙ্গে তার অভিনয় রসায়ন নাটকটিকে করেছে প্রাণবন্ত। রোমান্স, ট্র্যাজেডি ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব— সব মিলিয়ে নাটকটি দর্শকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।

মেরে হমসফর

রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার এই নাটকটি হানিয়া আমিরকে এনে দিয়েছে বিশাল পরিচিতি। এখানে তিনি হালা চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে জাত  চিনিয়েছেন, যাকে ছোটবেলা থেকেই পরিবারে অবহেলা করা হয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অবজ্ঞা আর কষ্ট সয়ে বড় হওয়া হালা শেষমেশ খুঁজে পায় সত্যিকারের ভালোবাসা। হানিয়ার অভিনয়ে হালার দুর্বলতা, লড়াই আর মানসিক শক্তি দর্শককে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।

সাঙ এ মাহ

এটি একটি সামাজিক ইস্যুভিত্তিক নাটক, যেখানে উপজাতীয় সংস্কৃতির নানা দিক উঠে এসেছে। হানিয়া এখানে ঘাগ চরিত্রের ভুক্তভোগী এক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তার চরিত্রের যন্ত্রণা ও প্রতিবাদী মানসিকতা নাটকটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। হানিয়ার চোখের ভাষা আর সংলাপ-উচ্চারণ দর্শকের মনে আজও গেঁথে রয়েছে ।

ফির ওয়াজুদ

এখানে হানিয়া হামির এক দৃঢ়চেতা ও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন একজন  নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সমাজ ও পরিবারে নারীর অবস্থান, ভালোবাসার জন্য লড়াই এবং ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার গল্প এই নাটককে বিশেষ করে তুলেছে। তার অভিনয়ে একাধারে কোমলতা ও দৃঢ়তার মিশেল দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে।