img

হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রেজা কিবরিয়া?

প্রকাশিত :  ০৯:১৫, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:২৬, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রেজা কিবরিয়া?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই চমক ড. রেজ কিবরিয়া। বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়া। গ্রেনেড হামলায় জীবন দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী এই হত্যার বিচার করেনি। ক্ষোভে অভিমানে দল ছাড়েন রেজা।

একপর্যায়ে গণফোরামে যোগ দেন। সেখানে তাকে ঘিরে নানা কোন্দল সৃষ্টি হয়। দলটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন রেজা। গণফোরামে থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট করেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে। 

এরপর গণফোরামে ভাঙাগড়ার খেলা শুরু হয়। একপর্যায়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গ ছাড়েন রেজা কিবরিয়া। নতুন দল গঠন করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে সঙ্গে নিয়ে। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু নুরের সঙ্গেও বেশি দিন বনীবনা হয়নি তরুণ এই রাজনীতিকের।একপর্যায়ে গণঅধিকার পরিষদ ভেঙে যায়। নুর আলাদা কমিটি করেন।

একপর্যায়ে রাজনীতি থেকেই দূরে সরে যান রেজা কিবরিয়া। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বেশ কিছুদিন রাজনীতি থেকে নির্বাসনে থাকেন। কিন্তু সেটি আর দীর্ঘ হয়নি। রক্তে যে রাজনীতির ধারাবাহিকতা!

শেষ পর্যন্ত আবারও চমক দেখিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া। সোমবার (১ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যুক্ত হন তিনি। 

যোগ দিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আমি আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে, রেজা কিবরিয়া এসে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আমি আমাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই। তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।

বিএনপির ৩১ দফার আলোকে রেজা কিবরিয়া বাংলাদেশ গঠন ভূমিকা রাখতে পারবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য ২৩৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রেখেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া বিএনপির জোটসঙ্গী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে একই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করেছিলেন।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে, বললেন হবিগঞ্জ-৪ এর জামায়াত প্রার্থী অলিউল্লাহ নোমান

প্রকাশিত :  ০৯:৫৭, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০২, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমানের পরিবর্তে খ্যাতিমান সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আসনটিতে। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) এ ঘোষণার পর থেকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে শুল্কমুক্ত গাড়ি, সরকারের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে প্লট দেওয়া হয় তা নেবেন না। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এমন ঘোষণা দেন।

সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান লিখেছেন, আল্লাহ সুযোগ দিলে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবো। সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং তারই ওপর আমাদের সকল ভরসা। নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী সবার দোয়া এবং সহযোগিতা চাই। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তিনি লিখেছেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, নতুন বাংলাদেশ গড়া এবং মাধবপুর-চুনারুঘাটের আধুনিকায়নই হবে আমার মূল লক্ষ্য। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে হবে আমার লড়াই। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।

বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি নিজ থেকেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শুরু করব, ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যদি কামিয়াব করেন, সংসদ সদস্যদের জন্য যে বৈষম্যমূলক বিশেষ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে, প্রথমেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাব। এর অংশ হিসেবে আমি নিজে আইনগতভাবে প্রাপ্য নিম্নোক্ত বৈষম্যমূলক বিশেষাধিকারগুলো পরিত্যাগ করব।

তিনি লিখেছেন, বর্তমানে প্রচলিত আইনে সংসদ সদস্যদের করমুক্ত গাড়ি কেনার যে বিশেষ সুবিধা রয়েছে, আমি তা নেব না। কারণ শুল্ক হচ্ছে রাষ্ট্রের পাওনা-অর্থাৎ, এটি ২০ কোটি মানুষের হক। প্রয়োজনে আমি এখন যেভাবে সাধারণ চলাফেরা করি-রিকশা, সিএনজিচালিত বেবি, অটোরিকশা-এসবই ব্যবহার করব।

জমি বরাদ্দের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, সাধারণ নাগরিক, যাদের অনেকেই ভূমিহীন, তাদের ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমি মনে করি, এটা ভূমিহীনদের সাথে উপহাস। তাদের ভোটে এমপি হয়, অথচ এমপি সাহেব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি পান। আমি ওয়াদা করছি, এরকম বৈষম্যমূলক জমি বরাদ্দ আমি চাইব না।

এর বাইরেও সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার জন্য যত বরাদ্দ থাকবে, সব প্রকাশ করা হবে। এগুলো একটি নোটিশবোর্ডে টাঙিয়ে রাখা হবে, যাতে সবাই জানতে পারেন কী বরাদ্দ এসেছে। এই বরাদ্দগুলো সবাইকে নিয়ে যথাযথ ব্যবহারের জন্য স্থানীয় পরামর্শ নেওয়া হবে। — Copied from www.khoborsangjog.com © 2025