প্রকাশিত :
০৬:৪৬, ২০ অক্টোবর ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫০, ২০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে বান্দরবন থেকে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।
তিনি জানান, ওই দম্পতি বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্ন কনটেন্ট আপলোড করতেন। তাদের পরিচালিত চ্যানেলটি বিশ্বের জনপ্রিয় পর্ন সাইটগুলোর মধ্যে একটি শীর্ষস্থানে উঠে আসে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিলেন।
বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই যুগল শুধু নিজেরাই অপরাধই করছে না বরং অন্যদেরও এই পথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করছেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে পর্ন ভিডিও বানানো এবং প্রচারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে।
সম্প্রতি দ্য ডিসেন্ট নামের একটি পত্রিকা এই দুই যুগলের বিষয়টি সামনে আনে।
প্রকাশিত :
১২:১৩, ২০ অক্টোবর ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫০, ২০ অক্টোবর ২০২৫
নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন পাকিস্তানি জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। তার চোখের চাহনি, প্রাণবন্ত হাসি আর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলেছেন তিনি। অভিনেত্রী খুব অল্প সময়েই সবচেয়ে প্রিয় মুখগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছেন। হানিয়ার অভিনয়ে আছে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, বাস্তবতার ছোঁয়া আর আবেগের গভীরতা। তার প্রতিটি সাহসী নারী চরিত্র যেন জীবনের গল্প বলে, তাই দর্শকও তাকে খুঁজে পায় নিজেদের মধ্যে।
হানিয়া আমিরের কিছু নাটক হয়ে উঠেছে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানোর একটি অধ্যায়। যে নাটকগুলো শুধু জনপ্রিয়তাই এনে দেয়নি, বরং প্রতিষ্ঠিত করেছে তাকে এক অনন্য অভিনেত্রী হিসেবে। হানিয়া আমিরের জনপ্রিয়তা শুধু তার সৌন্দর্যে সীমাব্ধ থাকেনি; বরং প্রতিটি চরিত্রে প্রাণ ঢেলে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। কখনো ভালোবাসায় ভরা মেয়ে, কখনো বঞ্চিত নারী, আবার কখনো প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর— সব ভূমিকাতেই নিজের অভিনয়কে ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপন করেন তিনি। তার নাটকগুলো প্রমাণ করে, হানিয়া আমির শুধু এক উদীয়মান অভিনেত্রী নন, বরং টেলিভিশনের ভুবনে একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। সেই স্মরণীয় নাটকগুলো নিয়েই আজকের কথামালা।
ইশকিয়া
হানিয়া আমির এখানে রুমি চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে পরিবার, প্রেম আর বিশ্বাসঘাতকতার টানাপোড়েনে পড়ে যায়। ফারহান সাঈদ ও ফিরোজ খানের সঙ্গে অভিনয়ে তার রসায়ন নাটকটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। প্রেম, ঈর্ষা আর প্রতিশোধের মিশ্রণে তৈরি নাটকটি ছিল টিআরপি তালিকার শীর্ষে।
ভিসাল
এই নাটকে হানিয়া আমির ছিলেন পারি চরিত্রে, যে সরল-সাদামাটা স্বভাবের হলেও ভাগ্যের খেলায় জড়িয়ে পড়ে এক জটিল সম্পর্কে। হাসান খান ও সাবা হামিদের সঙ্গে তার অভিনয় রসায়ন নাটকটিকে করেছে প্রাণবন্ত। রোমান্স, ট্র্যাজেডি ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব— সব মিলিয়ে নাটকটি দর্শকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।
মেরে হমসফর
রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার এই নাটকটি হানিয়া আমিরকে এনে দিয়েছে বিশাল পরিচিতি। এখানে তিনি হালা চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে জাত চিনিয়েছেন, যাকে ছোটবেলা থেকেই পরিবারে অবহেলা করা হয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অবজ্ঞা আর কষ্ট সয়ে বড় হওয়া হালা শেষমেশ খুঁজে পায় সত্যিকারের ভালোবাসা। হানিয়ার অভিনয়ে হালার দুর্বলতা, লড়াই আর মানসিক শক্তি দর্শককে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।
সাঙ এ মাহ
এটি একটি সামাজিক ইস্যুভিত্তিক নাটক, যেখানে উপজাতীয় সংস্কৃতির নানা দিক উঠে এসেছে। হানিয়া এখানে ঘাগ চরিত্রের ভুক্তভোগী এক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তার চরিত্রের যন্ত্রণা ও প্রতিবাদী মানসিকতা নাটকটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। হানিয়ার চোখের ভাষা আর সংলাপ-উচ্চারণ দর্শকের মনে আজও গেঁথে রয়েছে ।
ফির ওয়াজুদ
এখানে হানিয়া হামির এক দৃঢ়চেতা ও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন একজন নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সমাজ ও পরিবারে নারীর অবস্থান, ভালোবাসার জন্য লড়াই এবং ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার গল্প এই নাটককে বিশেষ করে তুলেছে। তার অভিনয়ে একাধারে কোমলতা ও দৃঢ়তার মিশেল দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে।