img

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন অভিনেতা সাহিল খানের স্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৪:৩৬, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪৩, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন অভিনেতা সাহিল খানের স্ত্রী

দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাহিল খান। বলা যায়, লাইমলাইটের বাইরে চলে গিয়েছেন তিনি। তবে অভিনয় দিয়ে আলোচনায় না থাকলেও গত বছরের শুরুর দিকে ২৬ বছরের ছোট বেলারুশের নাগরিক মেলিনাকে বিয়ে করে শোরগোল ফেলে দেন অভিনেতা। এক বছর পর সাহিল জানালেন, তার স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।  

সাহিল তার ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে তোলা এসব ছবির ক্যাপশনে এই নায়ক লেখেন, ‘খুবই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমার স্ত্রী মেলেনা আলেকজান্দ্রা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। চমৎকার এই জার্নির জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমিন।’

২৬ বছরের ছোট স্ত্রী মেলেনার ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর জানানোর ব্যাপারটি ভালোভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনরা। অনেকে যেমন অভিবাদন জানিয়েছেন, তেমনি অনেকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন।

পুরাণ রাওয়াত লেখেন, ‘বিয়ের পরে ধর্মান্তরিত হওয়াটা কি প্রয়োজন ছিল?’ পূজা লেখেন, ‘আপনি যদি সত্যি তাকে ভালোবাসেন, তবে আপনি কেন তাকে ধর্মান্তরিত করলেন! সে যেমন আছে, তাকে সেভাবেই গ্রহণ করুন।’ পোস্ট করা ছবিতে সাহিল খানের গলায় নেকলেস দেখা যায়। তাতে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতীক ‘ক্রস’ রয়েছে। এ নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেতা।

গত বছর বিয়ের পর হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেন সাহিল খান। স্ত্রীর বিষয়ে সাহিল খান বলেন, ‘মেলেনার বয়স এখন ২১ বছর। সে বেলারুশের নাগরিক। সম্প্রতি পড়াশোনা শেষ করেছে। বিয়ের পর খুবই ইতিবাচক অনুভূতি হচ্ছে। এখন বুঝতে পারছি, মানুষ কেন বিয়ে করে। আমি এখন খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।’

বয়সের ব্যবধান বাধা হয়নি তাদের সম্পর্কে। বরং বয়সের তুলনায় স্ত্রী অনেক বেশি ম্যাচিউর বলে জানান সাহিল। তার ভাষায়- ‘মেলেনা খুবই বুদ্ধিমতী আর সংবেদনশীল, ওর বয়স বেশ কম। আমাদের বয়সের পার্থক্য অনেক। তার বয়স ২১ হলেও অনেক তরুণীর চেয়ে মানসিকভাবে বেশি পরিণত এবং খুব শান্ত।’

সাহিল খানের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত নরওয়েজিয়ান অভিনেত্রী নেগার খানকে বিয়ে করেন সাহিল। ২০০৫ সালে ভেঙে যায় এই সংসার।

অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে সাহিল খান বলেছিলেন, ‘আমি সিনেমায় অভিনয়ের কাজ পাচ্ছিলাম না। এজন্য দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে। শুধু রিয়েলিটি শোয়ের প্রস্তাব পাচ্ছিলাম, বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ পেতাম কিন্তু কাজগুলো করি নি। আমি দুর্ঘটনাবশত অভিনেতা হয়েছিলাম। সিনেমাও হিট হয়েছিল। তাই কিছুদিন ক্যারিয়ার ছিল।’

২০০১ সালে ‘স্টাইল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন সাহিল খান। সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০১০ সালে সর্বশেষ মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা।

সাহিল বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করছেন। যদিও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ‍মুম্বাইয়ে রয়েছেন। আপাতত ব্যবসায় মন দিয়েছেন বলেও জানান এই অভিনেতা।

img

যিশুদা আমার বড় ‘ক্রাশ’ ছিল, বললেন শোলাঙ্কি রায়

প্রকাশিত :  ০৮:২৩, ১৫ মার্চ ২০২৫

জীবনের প্রথম সিনেমার প্রথম হিরোকে নিয়ে নানা গল্প শোনালেন টালিউড অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় । আর তার প্রথম জীবনের সেই হিরো হচ্ছেন যিশু সেনগুপ্ত।  

অভিনেত্রী যিশুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন, জন্মদিনে যিশুদাকে নিয়ে লিখতে হলে আমাকে একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। কারণ আমার প্রথম ছবির নায়ক যিশুদা। ভাবলে এখনও অবাক হই। ‘বাবা, বেবি ও’ সিনেমাটি ঘিরে তাই যিশুদার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আরও পোক্ত হয়েছিল।

অভিনেত্রী বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই যিশুদার অভিনয় দেখছি। এত সুদর্শন অভিনেতা! আমার তো একসময়ে যিশুদার ওপর খুব বড় ‘ক্রাশ’ ছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পর কয়েকটা অনুষ্ঠানে যিশুদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই ভাবে আলাপ ছিল না। দাদা যে আমার প্রথম ছবির অংশ, সেটা জানার পর বিশ্বাস করতে পারিনি। এক ধাক্কায় ছোটবেলার স্মৃতিগুলো ফিরে ফিরে আসছিল।

শুটিংয়ের সময়েই যিশুদাকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারি। মজার মানুষ। সবাইকে নিয়ে হইহই করতে ভালোবাসেন। তার থেকেও বড় কথা— আমি তখন নতুন। ‘উইন্ডোজ’-এর মতো বড় প্রযোজনা সংস্থার ছবি। সব মিলিয়ে একটু নার্ভাস ছিলাম। সেটেও শুরুর দিকে একটু চুপচাপ থাকতাম। কিন্তু যিশুদা এত বড় একজন অভিনেতা— সেটা আমাকে বুঝতে দেননি। বরং হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে আমাকে আরও সহজ করে তুলেছিলেন।

শুটিংয়ের সময় আমি, অরিত্র (ছবির পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়), গৌরব (গৌরব চট্টোপাধ্যায়), বিদীপ্তাদি (বিদীপ্তা চক্রবর্তী) মিলে প্রচুর আড্ডা দিয়েছিলাম। একটা সিরিয়াস ঘটনা মনে পড়ছে। 

শোলাঙ্কি রায় বলেন, একদিন শুটিংয়ে যাওয়ার পথে দুটি ছেলে আমার গাড়ি আটকায়। বুঝতে পারি— ওরা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন খুব খারাপ ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। আমি জীবনে হয়তো দুজনকে চড় মেরেছি। তার মধ্যে একজন ওই ছেলেটি! তারপর ফ্লোরে পৌঁছে খুব চুপচাপ ছিলাম। কী ঘটেছে, সবাই আমার মুখ থেকে শুনলেন। যিশুদা তো শুনেই অবাক। বললেন, কী! তুই চড়ও মেরেছিস? তার পর থেকে অনেক দিন যিশুদা আমাকে নিয়ে মজা করতেন। আসলে দাদা বুঝতে পেরেছিলেন, আমার মন খারাপ। তাই আমাকে আরও সহজ করার জন্যই মজা করছিলেন। আমিও তার পর হেসে ফেলেছিলাম। তবে আমি যে কাউকে, বিশেষ করে কোনো পুরুষকে চড় মারতে পারি, সেটি হয়তো দাদা বিশ্বাস করতে পারেননি। সেদিন থেকে একটু হলেও হয়তো দাদার কাছে আমার ভাবমূর্তি বদলে গিয়েছিল।

যিশুদার সঙ্গে এখন যোগাযোগটা খুবই কমে গেছে। এর মধ্যে দেখাও হয়নি। কারণ দাদা এখন অনেকটা সময় বলিউড ও দক্ষিণী প্রজেক্টের জন্য শহরের বাইরে থাকেন। কিন্তু মাঝেমাঝে মনে হয়, ‘বাবা, বেবি ও’-র সিক্যুয়েল তৈরি হলে কেমন হতো? প্রযোজনা সংস্থা এবং পরিচালক যদি রাজি হন, তা হলে আমিও রাজি। আবার সবাই মিলে মজা করে একটা ভালো ছবি তৈরি করা যাবে।

অভিনেত্রী বলেন, যিশুদার জন্মদিনে এটাই চাই—যিশুদা আরও ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দিক। আর আশা করছি, খুব দ্রুত আমাদের দেখাও হবে এবং একসঙ্গে নতুন কোনো কাজও করব।