img

চকচকে ছবির আড়ালে নিঃসঙ্গ পিতা-মাতা— সমাজের আয়নায় লুকানো এক নির্মম বাস্তবতা

প্রকাশিত :  ০৭:১১, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১৯, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

সংগ্রাম দত্ত

রাজনীতি কেবল ক্ষমতার খেলা নয়—এটি সমাজগঠনের অন্যতম চালিকাশক্তি।

কিন্তু রাজনীতির মঞ্চে যারা একসময় আলো ছড়িয়েছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে তাদের অনেকে হারিয়ে গেছেন বিস্মৃতির অতলে।

জনতার ভালোবাসা, দলের পদ, কিংবা পরিবারের স্নেহ—সবকিছু যেন একসময় ফুরিয়ে যায়।

এই প্রতিবেদনটি এমন কিছু বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি, যেখানে দেখা যায়—যে মানুষগুলো ছিলেন জনমানুষের আশ্রয়, তাঁরাই একসময় নিজ ঘরে হয়ে পড়েন পর।

প্রথম অধ্যায়: দাপুটে নেতার শেষ জীবনের নিঃসঙ্গতা

পঞ্চাশ থেকে আশির দশক—রাজনীতির উত্তাল সময়ে এক সাহসী, আপসহীন জননেতা ছিলেন তিনি।

পাকিস্তান আমলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর উচ্চকণ্ঠ তাকে বানিয়েছিল জনমানুষের প্রিয় মুখ। কিন্তু জীবনের শেষ অধ্যায়ে সেই নেতাকেই লড়তে হয়েছে এক নির্মম বাস্তবতার সঙ্গে—নিজ পরিবারের অবহেলার।

বার্ধক্যে শারীরিক দুর্বলতা ও আর্থিক নির্ভরশীলতা তাঁকে করে তোলে অসহায়। সেই সুযোগে পরিবারের কিছু সদস্য তাঁকে ব্যবহার করে নিয়েছে নিজের স্বার্থে।

একদিন অর্থ না দেওয়ায় নিজের সন্তানের হাতেই লাঞ্ছিত হন তিনি। এমনকি একটি সাধারণ সাবান নিয়ে সংঘাতের জেরে মায়ের উপরও নেমে আসে নির্যাতন।

পরে সেই মায়ের মৃত্যুর পর সেই একই সন্তান জাঁকজমক করে করে “দুর্গা পূজার ঘট পূজা” আয়োজন করে।

কিন্তু এই ঘটনাই প্রশ্ন তোলে—পূজার প্রদীপ কি পারে অন্তরের অন্ধকার দূর করতে?

আজও সামাজিক মাধ্যমে পিতা-মাতার ছবি পোস্ট করা হয়, ক্যাপশনে লেখা থাকে ভালোবাসার বুলি। কিন্তু বাস্তবে সেই পিতা-মাতারা কাটান রাত অন্ধকারে—বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া, এক কোণে হারিকেনের আলোয় নিঃসঙ্গ জীবন।

একদিন প্রতিবেশীরা এসে দেখে—পিতা ঘুমিয়ে আছেন এমন এক ঘরে, যেখানে দু’মুখো সাপ কিলবিল করছে।

এ যেন কেবল এক পরিবারের গল্প নয়, পুরো সমাজেরই মুখোশ উন্মোচন।

দ্বিতীয় অধ্যায়: ভুলে যাওয়া জননেতা—অবহেলায় বিস্মৃত এক ইতিহাস

যিনি একসময় সরকারি দলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, জনতার নেতা হিসেবে যাঁর নাম উচ্চারিত হতো শ্রদ্ধার সঙ্গে—আজ তাঁর নাম খুঁজে পাওয়া যায় কেবল পুরনো সংবাদে।

দল তাঁকে ভুলে গেছে, দেয়নি প্রাপ্য সম্মান; পরিবারও ব্যস্ত হয়েছে নিজেদের জগতে।

তিনি পরলোকগমন করেছেন নিঃশব্দে, রেখে গেছেন এক বিশাল শূন্যতা—আর এক অদম্য কন্যাকে।

সেই একমাত্র কন্যা আজও পিতার স্মৃতিকে ধারণ করে আছেন হৃদয়ে। তিনি পুরনো পত্রিকা, গুগল সার্চ, ও অনলাইন আর্কাইভ ঘেঁটে খুঁজে দেখেন—তার পিতার কর্মজীবন নিয়ে কোথাও কোনো লেখা আছে কি না, কে বা কারা কখনও লিখেছে তাঁকে নিয়ে।

একদিন এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি জানান—“বাবা সম্পর্কে কিছু করার ইচ্ছে আমার সবসময়ই ছিল। কিন্তু আমি কন্যা সন্তান—অনেক কিছু করাই আমার পক্ষে সীমিত। তবু বাবার প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কখনো কমে না।”

সাংবাদিক বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর কণ্ঠের ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অদম্য মেয়ের মমতা ও বেদনার গল্প—যে সমাজ পিতাকে ভুলে গেছে, সেই সমাজে কন্যাই হয়ে উঠেছে তাঁর একমাত্র জীবন্ত স্মৃতি।

তৃতীয় অধ্যায়: যে নেতার ত্যাগে সমাজ পেল প্রতিষ্ঠা

অন্য এক জননেতা—যাঁর জীবনব্যাপী ত্যাগ ও কর্মের ফলেই তাঁর গোষ্ঠীর অসংখ্য মানুষ আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত, ধনী ও প্রভাবশালী।

তাঁর একনিষ্ঠ পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল শিক্ষা, ব্যবসা ও সামাজিক উন্নয়নের ভিত। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস—নিজ জীবনের শেষ প্রান্তে তাকেও সইতে হয়েছে একাকীত্ব ও বিস্মৃতি।

তিনি আজ নেই—তবু তাঁর কর্মফল বেঁচে আছে তাঁর গোষ্ঠীর প্রতিটি পরিবারের সাফল্যে।

তবে ইতিহাসে তাঁর নাম খুঁজে পাওয়া কঠিন। কেউ কোনো স্মৃতিচারণ করেনি, কেউ লেখেনি তাঁর জীবনের গল্প।

তাঁর মৃত্যুর পর এক প্রবাসী কন্যা—পিতার স্মৃতি ধরে রাখতে পাসপোর্টে লেখা জন্মতারিখ মিলিয়ে তাঁর জীবনের তথ্য এক সাংবাদিককে দেন।

উদ্দেশ্য একটাই—যেন অন্তত কোথাও পিতার অবদান লেখা থাকে, যেন ইতিহাসে তাঁর নাম মুছে না যায়।

সেই সাংবাদিকের কলমে পরে প্রকাশ পায় এক নিবন্ধ—যেখানে ফুটে ওঠে জননেতার সংগ্রাম, অবদান ও মানবিকতার অনন্য উদাহরণ।

এ যেন প্রমাণ করে—এক কন্যার ভালোবাসাই পারে বিস্মৃত ইতিহাসকে জীবিত করতে।

চতুর্থ অধ্যায়: ঘরের রুমে মানবিকতার পরীক্ষা

যে পিতা-মাতা সন্তানদের মানুষ করেছেন ত্যাগ ও কষ্টে, তাঁদের শেষ আশ্রয় আজ ঘরের এক কোণে।

পরিবারের বড় কন্যা একদিন বলেছিল, “তোরা বড় রুমটা পিতা-মাতাকে দিয়ে দে, যাতে তাঁরা অন্তত শেষ জীবনটা একটু আরামে কাটাতে পারেন।”

কিন্তু কথাটি থেকে যায় কথাতেই। বাস্তবে আজও পিতা-মাতা ছোট, স্যাঁতসেঁতে ঘরে, আর সন্তান ও বউ মোটামুটি ভালো রুমে উপভোগ করছে আয়েশী জীবন।

এ যেন মানবিকতার লজ্জাজনক প্রতিচ্ছবি—যেখানে শিক্ষায় আমরা আধুনিক, কিন্তু মননে এখনো মধ্যযুগীয়।

স্মার্ট সমাজ, আনস্মার্ট মন-মানসিকতা

আমরা আজ স্মার্ট যুগে বাস করি—প্রযুক্তিতে অগ্রগামী, যোগাযোগে দ্রুত।

কিন্তু হৃদয় কি ততটাই মানবিক হয়েছে?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবাসার পোস্ট যত বাড়ছে, বাস্তবে তত কমছে স্নেহ, সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা।

প্রতিটি ঘরে আজ লুকিয়ে আছে এমন এক গল্প—যেখানে সন্তানরা ব্যস্ত নিজেদের সুখে, আর পিতা-মাতা হারিয়ে যাচ্ছেন নিঃশব্দে।

ভালোবাসা হোক মুখোশ নয়, বাস্তব জীবনের আচরণে

পিতা-মাতা কেবল জীবনের সূচনা নন—তাঁরা আমাদের ইতিহাসের মূল শিকড়।

তাঁদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের স্থান ফেসবুক নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের যত্নে, সম্মানে ও উপস্থিতিতে।

যেদিন আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াব নিঃস্বার্থভাবে,

সেদিনই সমাজ সত্যিকার অর্থে আলোকিত হবে—

আর ইতিহাস তখন লিখবে:

“যে সমাজ পিতামাতাকে সম্মান দেয়, সেই সমাজই সত্যিকারের সভ্য।”

মতামত এর আরও খবর

img

আগামী নির্বাচনের আগাম পূর্বাভাস

প্রকাশিত :  ১৫:২৮, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২২, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

সাইফুল খান 

বাংলাদেশের রাজনীতি এমন এক রোগে আক্রান্ত, যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রের কোনো গ্রন্থে পাওয়া যাবে না। এই রোগের নাম "ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা"। আর এই রোগের উপসর্গ অন্ধত্ব। আমরা সবাই এই অন্ধত্বে আক্রান্ত। নেতা, কর্মী, বুদ্ধিজীবী এমনকি সেই সাধারণ মানুষটিও, যে প্রতি পাঁচ বছর পরপর ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভাবে সে কিছু একটা পরিবর্তন করবে। অথচ পরিবর্তনের নামে সে কেবল সেই পুরনো অসুখটাকেই বুকে নিয়ে বাড়ি ফেরে। সেটার নাম হতাশা।

বিএনপি এই দেশে বিরোধী রাজনীতির বৃহত্তম শক্তি। এ কথা যে মিথ্যা নয়, তা সমীক্ষার সংখ্যাই বলে দেয়। Innovision-এর “People’s Election Pulse Survey (PEPS)”–এ ১০,৪১৩ জন নাগরিকের সাক্ষাতে উঠে এসেছে— ৪১.৩% ভোটার বিএনপিকে ভোট দিতে প্রস্তুত।

আর যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকে তাহলে সেই সমর্থন লাফিয়ে গিয়ে ৪৫.৬%।

৩৯.১% মানুষ মনে করে তারা “আগামী সরকারের যোগ্য দল”। খুলনায় ৪৩.৩%, ময়মনসিংহে ৪৫.৭% সমর্থন এগুলো কোনো সাধারণ সংখ্যা নয়।

কিন্তু শক্তির শিখরে দাঁড়িয়ে যে বিভাজন শুরু হয়েছে, সেটিই BNP-এর সবচেয়ে বড় শত্রু।

শত্রু আওয়ামী লীগ নয়; শত্রু গণতন্ত্র নয়; শত্রু সামরিক বা অ-সামরিক কোনো শক্তিও নয়। তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু নিজেদের ভেতরের মানুষগুলো।

২৩৭টি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হলো, আর দলটি মুহূর্তেই ডুমুরের পাতার মতো কাঁপতে লাগলো। মনোনয়ন বঞ্চিতদের ত্যাগী নেতাদের চোখে ক্ষোভ, কথায় ব্যঙ্গ, বুকে প্রতিহিংসা। তারা ভাবলো “দল আমাকে দেয়নি, দেশ আমাকে অবশ্যই দেবে।” ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঢল দেখার অপেক্ষা করতেই পারে জনগন। 

রাজনীতির এই কান্না, এই আক্রোশ, এই আত্মপরাজয়ের গল্প এমন সময় ঘটছে যখন বিরোধী ভোট তিনটি ধারায় ভেঙে সমুদ্রে হারিয়ে যাচ্ছে।

প্রথম ধারাটি হলো- জামায়াত–ই–ইসলামি।

জামায়াত বিরোধী পোক্ত রাজনৈতিক ন্যারেটিভের কারনে অনেকে তাদের অপছন্দ করে। আবার অনেকেই ভালোও বাসে। কিন্তু সংখ্যার গাণিতিক সত্যকে কোনো দার্শনিক লেকচার দিয়ে বদলানো যায় না। জামায়াত জাতীয়ভাবে ৩০.৩% সমর্থন পাচ্ছে এই একই সমীক্ষায়।  রংপুরে তারা ৪৩.৪% যেখানে বিএনপিকেও তারা ছুঁয়ে ফেলে।

এই দলের সঙ্গে এখন আরও ৮টি সমমনা দল যুক্ত হয়েছে৷ একটি জোট, যার উদ্দেশ্য রাজনীতিকে পুনরায় এক বৈশিষ্ট্যময় রূপ দেওয়া।

বিএনপি কি এই বাস্তবতা দেখে?

হ্যাঁ, দেখে।

কিন্তু তারা দেখে ঠিক যেভাবে সূর্যাস্তের দিকে তাকালে মানুষ চোখ বুজে ফেলে।

তারপর আসে তৃতীয় লাইন NCP, জাতীয় নাগরিক পার্টি।  এটি নতুন প্রজন্মের দল।

PEPS-এ এদের সমর্থন ৪.১%। BIGD রিপোর্টে ২.৮%। কিন্তু যুবসমাজে SANEM-এর হিসাব বলছে ১৫.৮৪% সম্ভাবনা।

এই সংখ্যা হয়তো ছোট মনে হতে পারে, কিন্তু “রাজনীতি” নামের যে মৃগয়ায় আসন দখল করতে হয় তার জন্য এই পরিমাণ ভোটই কখনো কখনো সরকার পরিবর্তনের কাঁটা ঘুরিয়ে দেয়।

এনসিপি এমন সময়ে জোট করছে যখন বিএনপি নিজ ঘর সামলাতে ব্যস্ত। জামায়াত তার সমর্থনকে শক্ত জোটে রূপ দিচ্ছে, আর আওয়ামী লীগ নীরব কিন্তু সতর্ক। এনসিপি যেভাবে তরুণ ভোটারের মনস্তত্ত্বে ঢুকেছে BNP তা পারেনি। এনসিপির এই উত্থানই বিশ্লেষকদের মুখে এক নতুন সত্য তুলে এনেছে। জামায়াত যতটা নয়, এনসিপির জোট বিএনপির ভোটকে আরও বেশি ক্ষয় করতে পারে।

এবার জনগণের দিকে তাকাই। PEPS বলছে-

৫৭.৫% মানুষ আইন-শৃঙ্খলাকে সবচেয়ে বড় সমস্যা মনে করে। দ্বিতীয় সমস্যা মূল্যস্ফীতি।

দুর্নীতি ও আইনি সংস্কারও শীর্ষ তালিকায়।

আর সবচেয়ে বড় কথা ৪৮.৫% ভোটার এখনও অনির্ধারিত।

এই অনির্ধারিত মানুষের দলটাই আসল নাটকের মূল চরিত্র। তারা এমন জনগোষ্ঠী যারা রাষ্ট্রের অস্থিরতার মাপ দেখে সিদ্ধান্ত নেয়, দলের পতাকা দেখে নয়। এই অনির্ধারিত মানুষদের ভোট BNP হারাবে কিনা, তা ঠিক করবে তাদের ভেতরের বিভাজন, জামায়াতের জোটগত শক্তি এবং এনসিপির আগ্রাসী নতুন-রাজনীতির ভাষা।

বিএনপি হয়তো সমীক্ষায় এগিয়ে আছে, কিন্তু রাজনীতি কেবল সমীক্ষার খেলাও নয়।এটি সময়ের নির্মম ব্যঙ্গ। যে দল নিজের ঘরে শান্তি রাখতে পারে না, সে কি দেশের শান্তি রাখতে পারবে? প্রশ্ন অবান্তর নয়, যৌক্তিক।

বিএনপির ভেতরের ক্ষয়, জামায়াতের আলাদা শক্তি, এনসিপির যুব-স্রোত এই তিনটি মিলিয়ে বিএনপির সম্ভাব্য ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে এমনটাই সমীক্ষা, বিশ্লেষক এবং মাঠের বাস্তবতা একসঙ্গে নির্দেশ করছে। সময়ের সাথে বিএনপির ভোট কমার আশংকাই নির্দেশ করছে।

রাজনীতি শেষ পর্যন্ত মানুষের বিচারবুদ্ধির ওপর দাঁড়ায়। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি দাঁড়ায় মানুষের ক্ষোভের ওপর। আর যে দেশে ক্ষোভই প্রধান চালিকাশক্তি। সেখানে বিভাজনই প্রকৃত নিয়ন্তা।

বিএনপি কি এই বিভাজন সামলাতে পারবে?

জামায়াত কি তাদের জোটকে সত্যিকারের শক্তিতে রূপ দিতে পারবে? এনসিপি কি নতুন প্রজন্মের বিশ্বাসকে ভোটে পরিণত করতে পারবে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমরা পেতে পারি।

কিন্তু রাজনীতি? রাজনীতি কখনো সরাসরি উত্তর দেয় না। সে দেয় সংকেত, দেয় ইঙ্গিত, আর মাঝেমধ্যে দেয় নির্মম হাসি।

শেষ পর্যন্ত মনে হয়, বাংলাদেশে নির্বাচন শুধু একটি গণতান্ত্রিক অনুষ্ঠান নয়; এটি ক্ষমতার মনস্তত্ত্বের এক বিশাল মানসিক-নাট্যমঞ্চ, যেখানে প্রত্যেক দল নিজের ট্র্যাজেডি নিজেই রচনা করে, নিজেই অভিনয় করে, আর শেষে বিস্ময়করভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত করতালি দাবি করে!


লেখক-ইতিহাস,রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক।

মতামত এর আরও খবর