img

শরীরচর্চার আগে ও পরে কী খাবেন কী খাবেন না

প্রকাশিত :  ১২:২৩, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

শরীরচর্চার আগে ও পরে কী খাবেন কী খাবেন না


অনেকেই শরীর ফিট রাখতে, ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম যেমন জরুরি একইসঙ্গে ব্যায়ামের আগে-পরে নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া করাটাও জরুরি। 

শরীরচর্চার আগে কী খাবেন

১. টক দই বা ইয়োগার্টের সঙ্গে ফল ও ১ চামচ পিনাট বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন।

২. মিষ্টি আলু, কলা, পিনাট বাটার দিয়েও একসঙ্গে খেতে পারেন।

৩. ডার্ক চকলেট, ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। এতে অতিরিক্ত শক্তি পাবেন।

৪. ছাতুর শরবত খেতে পারেন। এই শরবত একদিকে যেমন পুষ্টি, শক্তি দেবে, তেমন পেট ভরাও থাকবে অনেকক্ষণ।

৫. নানা ধরনের বাদাম, ড্রাই ফ্রুটসও অল্প খেতে পারেন।

শরীরচর্চার মাঝে কী খাবেন

ফিটনেস প্রশিক্ষকদের মতে, ব্যায়ামের মাঝে পানি ছাড়া আর কিছু না খাওয়াই ভালো। অনেকেই শারীরচর্চার মাঝে ব্ল্যাক কফি খান। তবে ঘাম ঝরানোর সময়ে ক্যাফেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 

শরীরচর্চার পর কী খাবেন

১. ওটস, কলা, পিনাট বাটার, কাঠবাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন।

২. পালং শাক, বিটরুট বা মাল্টিগ্রেন আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে রাখুন সবজি, চিকেন বা মাছ বা ডিম। 

৩. ঘরোয়া খাবারের মধ্যে চিঁড়ের পোলাও, সুজি বা সবজি খিচুড়ি খেতে পারেন। বয়স্ক ও ডায়াবেটিস রোগীরা মুড়ি খাবেন না।

ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলছেন, ভরা পেটে ব্যায়াম করা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। শারীরচর্চা করার অন্তত এক-দু’ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন। আবার ব্যায়ামের অন্তত আধ ঘণ্টা পরে খান। সকালের দিকে খালি পেটেও ব্যায়াম করতে পারেন। তবে ব্যায়ামের পরে সলিড খাবার খাওয়ার আগে ডিটক্স ওয়াটার খেতে হবে। এক গ্লাস পানিতে দারুচিনি, কাঁচা হলুদ, গোটা জিরা, চিয়া সিডস ও আপেল ফুটিয়ে নিলেই পাবেন ডিটক্স ওয়াটার। তবে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো। 

img

ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে যেসব অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৫:৩৭, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসার চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে না পড়া কিংবা বাজার থেকে কী কী কিনতে হবে তা হুট করে ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ইদানীং অনেকেই ভুগছেন। এমনটা যে বয়স্কদের হচ্ছে তা নয়। অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও এ ধরনের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হুট করে সবকিছু গুলিয়ে যাওয়া, প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুলে যাওয়া কিংবা পছন্দের মানুষের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ ইত্যাদি ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা নয়। চলার পথে হুট করে কিছু মনে না রাখত্রে পারলে খানিকটা পিছিয়ে পড়তে হয়। কখনো কখনো অন্যদের সামনে বেশ অস্বস্তিতেও পড়তে হয়।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। দিনের পর দিন একই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে। 

উচ্চস্বরে গান শোনা: গান শোনা খুব ভালো একটি অভ্যাস। গান শুনলে মস্তিষ্ক শীতল হয়। দুশ্চিন্তা দূর হয়। কিন্তু কানে হেডফোন গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শুনলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দ শুনতে থাকলে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ রূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে সারা ক্ষণ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের সামনে মুখ গুঁজে বসে থাকা, সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করা, স্ক্রিনে গেমস খেলা, ওয়েব সিরিজ দেখা ইত্যাদি কাজগুলো করলে দিনের অধিকাংশ সময় স্ক্রিনে চোখ থাকে। এতে চোখের যেমন  ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। এতে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

অন্ধকারে থাকা: কেউ কেউ অন্ধকারে থাকতে ভালোবাসেন। দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ধীর করে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক আলোতে থাকতে হবে। সূর্যের আলোতে সময় কাটাতে হবে। এতে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে।

একা থাকার অভ্যাস: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারলে অনেক বন্ধু পাওয়া যায়। কিন্তু ভার্চুয়াল বন্ধুরা কাছের হয় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ ভেতর থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভীড়-আড্ডা-অনুষ্ঠানে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে চান। অর্থাৎ নিজের মতো একা থাকতে চান। একা থাকার অভ্যাসও কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

অধিক পরিমাণে চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আবার বার্গার, ভাজাপোড়া খাবার, আলুর চিপ্স বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই এসব খাবারের বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার রাখতে হবে।