img

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ০৫:৪৭, ২১ মে ২০২৫

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখবেন যেভাবে

কর্মজীবীদের দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হয় কর্মক্ষেত্রে। আর সেই কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ তো থাকেই। সেটা হতে পারে সহনীয় পর্যায়ের কিংবা তার চেয়েও বেশি। অতিরিক্ত কাজের চাপে কর্মী হতাশ হতে পারেন। কাজের গতিও কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ ব্যক্তির শরীর ও মনে প্রভাব ফেলে থাকে। তাই আসুন জেনে নিই কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপমুক্ত থাকবেন যেভাবে- 

১. অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিদিনের টু-ডু লিস্ট তৈরি করুন

কর্মক্ষেত্রের যাবতীয় কাজকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করুন। ডেডলাইনের দিকে খেয়াল রেখে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করুন। কাজ সহজ করার জন্য আপনার ফোনে ব্যবহার করতে পারেন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ বা টু-ডু লিস্ট টুল।

২. অফিসের কাজ অফিসেই সারা

কাজ জমিয়ে রাখবেন না। এতে অতিরিক্ত কাজের চাপই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে। চেষ্টা করুন যেদিনের কাজ সেদিনই সেরে ফেলতে। কাজ নিয়ে বাড়ি ফেরাও বন্ধ করুন। বাড়ির সময়টুকু বাড়িতে দিন। অফিসের কাজ বাড়িতে না নেওয়াই ভালো। তরতাজা থাকতে পরিবারের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর বিকল্প নেই। 

৩. মেডিটেশন

মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মনকে শান্ত করে। বিভিন্ন ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম করুন। এতে সহজেই আপনি কর্মক্ষেত্রে যেকেনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবেন।

৪. মাল্টিটাসকিং পরিহার

প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখুন। অন্যথায়ে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ আপনার কাজের প্রোডাক্টটিভি কমিয়ে মানসিক চাপ বাড়াবে।

৫. কাজের মাঝে বিরতি

অফিসে অনেকক্ষণ কাজ করার ফলে কাজে সহজেই একঘেয়েমি চলে আসে। এজন্য কাজের ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নিন যা আপনার মনকে প্রফুল্ল রাখবে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটিতে চেষ্টা করুন পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঘুরতে, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে।

৬. একটানা কাজ না করা

অফিসে ঢুকেই কম্পিউটারে মুখ গুঁজে বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝে কাজ থেকে বিরতি নেওয়া জরুরি। একটানা কাজ করলে বিরক্তি আসবেই। তাই মাঝেমধ্যে কাজ থেকে পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য বিরতি নিন। এই সময়ে নিজের পছন্দের গান শুনে নিতে পারেন। মাঝে মাঝে উঠে মিনিট পাঁচেক হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি এক ঘণ্টায় এভাবে বিরতি নিলে উপকার মিলবে। চাইলে অফিসের নিচে থেকে একটু হেঁটে আসতে পারেন। এতে মন ভালো থাকবে আর পিঠ ও কোমরব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।

৭. সহকর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন

কর্মক্ষেত্রে সকলের কাজের ধরন আলাদা হয়। দলগত কাজে মতের অমিল হওয়া স্বাভাবিক। এতে যেকোনো ধরনের কাজে সাহায্য নিতে বা মত প্রকাশে দ্বিধা না করে খোলামেলা আলোচনা করুন। এতে মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় এবং লক্ষ্য অর্জনে বাড়তি চাপ নিতে হয় না। সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হয়।

৮. দুপুরে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ

দুপুরে এমন খাবার খান, যাতে পেটও ভরবে আবার শক্তিও পাওয়া যাবে। পানিবহুল ফল ও সবজি খেতে পারেন। এগুলো গরমের সময় শরীর তরতাজা রাখবে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ভেষজ চা থাকতে পারে স্ন্যাকস টাইমে। আর এসবের পাশাপাশি সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করছেন কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান শরীর শীতল রাখে এবং শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে সহজে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন না।


img

রাতে ৫ উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হোন

প্রকাশিত :  ০৯:৪৪, ২৮ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫৯, ২৮ মে ২০২৫

আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। বর্তমানে কিডনি রোগী ব্যাপক বাড়ছে। কিডনির রোগ হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। বেশিরভাগ সময়ই কিডনি সমস্যার উপসর্গগুলো এতটাই মৃদু হয় যে, অসুখ বাড়াবাড়ি না হলে বুঝে ওঠা যায় না। শুধু পাথর জমা নয়, কিডনিতে আরও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কিডনি বিকল হলে তার কিছু ইঙ্গিত আগে থেকেই শরীরে ফুটে ওঠে, যা সাধারণত আমরা উপেক্ষা করে যাই। বিশেষ করে রাতের বেলা কিডনি রোগের উপসর্গ সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ে।

এ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে, রাতের বেলা যে লক্ষণ দেখা দিলে কিডনি রোগ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।

পা ফুলে যাওয়া : কিডনির সমস্যায় শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা এবং গোড়ালি ফুলে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যায় অথবা রাতে পা ফুলতে শুরু করলে এবং সকালে কমে গেলে তা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে ফেলে রাখা ঠিক নয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া : ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কেবল ডায়াবেটিস নয়, কিডনি রোগের কারণেও হতে পারে। বিশেষত রাতের বেলা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিবার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। রাতে দুই বা তার বেশি প্রস্রাব হলে তা কিডনি অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে।

অনিদ্রার সমস্যা : ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনিদ্রার সমস্যা খুবই সাধারণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই হঠাৎই অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিলে তা উপেক্ষা না করাই ভালো।

শ্বাসকষ্ট হওয়া : শ্বাসকষ্ট কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ। কিডনির সমস্যা হলে শরীরে তরলের পরিমাণে হেরফের হয়। আর তা থেকেই ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে। শোয়ার সময়ে এ সমস্যা আরও বেড়ে যায়।