img

শীতে চুলের জন্য কোন তেল ভালো?

প্রকাশিত :  ১০:১৫, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতে চুলের জন্য কোন তেল ভালো?

শীতকালটা ত্বক এবং চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর । শীতকালে চুলের বৃদ্ধি যেমন কমে যায় , তেমনি ভেঙেও যায়। তবে সঠিক তেল বেছে নেওয়ার মাধ্যমে, আপনি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে , আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারেন। নিয়মিত তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুতও হয়। 

এই শীতে চুলের পুষ্টি জোগাতে যেসব তেল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন-

নারকেল তেল

নারকেল তেল চুলের গভীরে প্রবেশ করে এবং প্রোটিন ক্ষয় রোধ করে। শীতকালে চুল ভঙ্গুর এবং নিস্তেজ হয়ে গেলে এই তেল তা মেরামতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। ভালো ফল পেতে নারকেল তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন যাতে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত হয় । নিয়মিত এভাবে তেল মালিশ করলে মাথার ত্বকের চুলকানি, শুষ্কতা দূর করে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। 

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েল চুলের গোড়া শক্তিশালী করে। রেসিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই তেল রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করে। নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে এই তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।  

বাদাম তেল

বাদাম তেল ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর। ঘন ঘন এই তেল ব্যবহারের ফলে চুল নরম হয়, শীতের কারণে শুষ্কতাও হ্রাস পায়। এটি দ্রুত শোষিত হয়। প্রতিদিন বা রাতে চুলের যত্নের জন্য এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

আমলকীর তেল

আমলকীর তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্তিশালী এবং চুল পড়া রোধ হয়। ফলের মতো, এই তেলটিও ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে  চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। 

তিলের তেল

তিলের তেল প্রাকৃতিকভাবে উষ্ণ, ঠান্ডা আবহাওয়ায় ম্যাসাজের জন্য আদর্শ । এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, শুষ্কতা কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। এই তেল মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত তিলের তেল ব্যবহারে শীতকালে চুল হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর। 

অলিভ অয়েল

শীতের দিনগুলিতে অলিভ অয়েল চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের কিউটিকল মসৃণ করতে সাহায্য করে। এটি চুল ভাঙা থেকে রোধ করে। শীতে চুল সুন্দর করতে নিয়মিত এই তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন । 

সরিষার তেল

সরিষার তেল মাথার ত্বককে উষ্ণ করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ফলিকলকে শক্তিশালী করে, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। ভালো ফল পেতে নারকেল তেল বা তিলের তেলের সাথে এই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। 


img

বিয়ের পর নারীরা কখন এবং কেন পরকীয়ায় আকৃষ্ট হয়?

প্রকাশিত :  ০৬:৫০, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

রোমান্টিক সম্পর্কের সবচেয়ে সংবেদনশীল, জটিল আর বিতর্কিত অধ্যায়ের নাম পরকীয়া। এর পেছনে আছে জটিল মানসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জৈবিক—এমনকি আর্থিক পরিপ্রেক্ষিত।

পরকীয়া বিস্তৃত গবেষণাগুলোর একটি করেছে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনফিডেলিটি রিকভারি ইনস্টিটিউটের গবেষক দল। তারা বলছেন, মানুষ কেবল শারীরিক আকর্ষণের জন্য নয়, অনেক সময় ভালোবাসা না পাওয়া, গুরুত্ব না পাওয়া, নতুন কিছু পাওয়ার হাতছানি বা মানসিক সমস্যার কারণেও অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

মানুষ শুধু সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট বলেই নয়, কখনো কখনো নতুন অভিজ্ঞতার আকর্ষণ বা কৌতূহল থেকেও পরকীয়ায় জড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির কিনসি ইনস্টিটিউটে রিসার্চ ফেলো ড. জাস্টিন লেমিলার। পরকীয়া, যৌনকল্পনা, সম্পর্কের বৈচিত্র্য ও যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে তিনি করেছেন উল্লেখযোগ্য গবেষণা। ‘টেল মি হোয়াট ইউ ওয়ান্ট’ বইয়ে লেমিলার লিখেছেন, ‘পরকীয়া সব সময় অসুখী দাম্পত্যের ফল নয়। অনেক সময় সুখী দম্পতির একজন নতুন অভিজ্ঞতা, বৈচিত্র্য বা উত্তেজনার খোঁজে সম্পর্কের বাইরে পা বাড়াতে পারে।’

চলুন বিভিন্ন গবেষণায় উঠে আসা পরকীয়ার প্রধান কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক-

১. দাম্পত্য সম্পর্কে অসন্তুষ্টি: বোঝাপড়ার অভাব, অবহেলা, শারীরিক সম্পর্কে অসন্তুষ্টি ইত্যাদি কারণে মানুষ অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

২. রোমাঞ্চ ও নতুনত্বের খোঁজ: ‘একঘেয়ে’ সংসার থেকে বেরিয়ে নতুন উত্তেজনা অনুভবের জন্য অনেকে পরকীয়ায় জড়ান। গবেষণা বলছে, এ ধরনের সম্পর্ক সাধারণত তিন মাস থেকে দুই বছরের বেশি টেকে না।

৩. মানসিক স্বস্তি ও মুক্তি: দায়িত্ব আর দুশ্চিন্তার ভারে ক্লান্ত মানুষ অনেক সময় সম্পর্কের বাইরে গিয়ে আশ্রয় খোঁজে।

৪. ডেটিং অ্যাপ ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: প্রযুক্তি পরকীয়াকে আরও সহজলভ্য করেছে। পরিচয় গোপন রেখেও সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়া যায়।

৫. কর্মস্থলের ঘনিষ্ঠতা: দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাজ করার ফলে সহকর্মী থেকে প্রেমিক/প্রেমিকা হয়ে ওঠার ঘটনাও নতুন নয়।

৬. প্রেমে পড়া স্বভাব: কেউ কেউ বারবার প্রেমে পড়তে অভ্যস্ত। সঙ্গী যত ভালোই হোক, তারা নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

৭. মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো সমস্যায় অনেকে স্থায়ী সম্পর্কে স্থির থাকতে পারেন না।

৮. স্বার্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা: সামাজিক মর্যাদা বা আর্থিক সুবিধার জন্যও কেউ কেউ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে যান।

৯. অল্প বয়সে বিয়ে: ২০ বছরের আগেই যাদের বিয়ে হয়, তাদের মধ্যে পরে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

১০. শৈশবের ট্রমা: মা-বাবার ঝগড়া ও অশান্তিতে বেড়ে ওঠা সন্তানেরা অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

১১. প্রতিশোধপরায়ণতা: অতীতে প্রতারিত কেউ অনেক সময় নতুন সম্পর্কে গিয়ে প্রতারণাকে নীরব প্রতিশোধ হিসেবে ব্যবহার করেন।

১২. অভ্যাসগত প্রতারণা: গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একবার প্রতারণা করেছেন, তাদের একাধিকবার প্রতারণায় জড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।

গবেষকদের মতে, খোলামেলা যোগাযোগ, পারস্পরিক মনোযোগ আর প্রতিশ্রুতিই হতে পারে যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।