img

শীতে খুশকি-চুল পড়া, যেভাবে চুল ঝলমলে রাখবেন

প্রকাশিত :  ১২:৫৫, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শীতে খুশকি-চুল পড়া, যেভাবে চুল ঝলমলে রাখবেন

শীত আসলেই চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও খুশকির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথমেই শীতের কারণে চুলের যত্নের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার। শীতকালে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে ঠাণ্ডা বাতাসে থাকার ফলে চুল দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ভেঙে যেতে শুরু করে। এজন্য শীতকালীন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যা চুলকে আর্দ্র এবং কোমল রাখে। 

শীতকালে চুলে তেলের ব্যবহারও বৃদ্ধি করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত একদিন তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। তেল চুলের শিকড়ে পুষ্টি প্রদান করে, যা চুলের মজবুত করে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া শীতকালে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত, যাতে চুলের প্রাকৃতিক তেল অক্ষুণ্ণ থাকে। খুব গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। 

কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুলে প্রাকৃতিক তেলের জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন আলোভেরা বা নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পুষ্টির খেয়াল রাখতে হবে। 

শীতকালে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন E, Omega-3 এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন বাদাম, মাছ, ডিম, এবং শাকসবজি রাখা উচিত। এই পুষ্টিগুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

চুলের ভেতর ময়লা জমে গেলে বা চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে গেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত চুলে পরিষ্কার রাখা জরুরি। এছাড়া চুলে অতিরিক্ত হিট ব্যবহার যেমন হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার কম ব্যবহার করা উচিত, কারণ এগুলি চুলকে আরও শুষ্ক করে ফেলতে পারে। 

চুলের যত্নে পরিধানযোগ্য হেডক্যাপ বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন, যা শীতের ঠাণ্ডা বাতাস থেকে চুলকে রক্ষা করবে।

শীতকালে চুলের যত্নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিয়মিত চুল কাটানো। চুলের ডগা ফাটলে তা চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, তাই প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর চুল কাটানো উচিত। 

সবশেষে, শীতকালে চুলকে ঝলমলে রাখার জন্য সঠিক যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ধৈর্য রাখা জরুরি। সময়মতো পুষ্টি, তেল, সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের মাধ্যমে চুল থাকবে মজবুত, ঝলমলে এবং শীতেও আপনার আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। 

যদি মনে হয় সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হচ্ছে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চর্ম ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: চিকিৎসক (এম.বি.বি.এস) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

img

মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় রাখে যেসব ফল

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০৫ মে ২০২৫

স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা মনোযোগ বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ড্রাই ফ্রুটস রাখলে মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় থাকবে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে অপকারও হতে পারে। যেসব ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে।

আখরোট

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আখরোট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে একটি আখরোট খেলে উপকার পাওয়া যায়। চাইলে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।

আমন্ড বা কাঠবাদাম

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন সকালে ২–৩টি ভেজানো আমন্ড খাওয়া সবচেয়ে উপকারি।

কাজুবাদাম

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কাজু মনোযোগ বাড়ায়। তবে এটি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে, তাই দিনে ২–৩টির বেশি খাওয়া উচিত নয়। লবণ দেওয়া কাজু না খাওয়াই ভালো।

পেস্তা

পেস্তা খেলে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। হালকা গরম দুধের সঙ্গে পেস্তা গুঁড়া মিশিয়ে খেলে আরও ভালো ফল মিলতে পারে।

কিশমিশ

কিশমিশ সরাসরি খাওয়া বা কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

ডুমুর

শুকনো বা ভেজানো ডুমুর খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে।

বিশেষ পরামর্শ: উপরের যেকোনো খাদ্য নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।